পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኳ” জীবনী-সংগ্ৰহ শুনিয়া তাহারা সকলেই বিস্মিত ও আনন্দিত হন। আনন্দের বিশেষ কারণ এই যে, রাজর্ষি কোলকে তাহারা চিনিতেন। রাজর্ষি কোল বারাণসীর রাজা । তিনি জ্যেষ্ঠপুত্রের উপর রাজ্যভার অর্পণ করিয়া হিমালয় পৰ্ব্বতের পাদদেশে তপস্যার্থ গমন করিয়াছিলেন। তঁহাকর্তৃক শাক্যকন্যা পরিগৃহীত হইয়াছে এবং তঁহার ঔরসে দৌহিত্রগণ উৎপন্ন হইয়াছে, ইহা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। শাক্যগণ অতিমাত্র প্রীত হইয়া সেই দৌহিত্র ও ভাগিনেয়াদিগকে গ্ৰহণ করেন এবং যথোচিত বৃত্তিপ্ৰদান করেন। যে বালকের যে নাম, সেই বালককে সেই নামে এক একখানি ক্ষুদ্র গ্রাম ও কিছু কিছু কৃষিযোগ্য ভূমি প্ৰদান করেন এবং উহাদিগকে কোলীয় নামে খ্যাত করেন। এইরূপে শাক্যকন্যা হইতে কোলীয় বংশ উৎপন্ন হইয়াছিল। সুভূতি নামক জনৈক শাক্য এই কোলীয় বংশের এক সুন্দরী কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন, তদীগর্ভে মায়াদেবীর জন্ম হয়। কপিলবস্তু নগরের অদূরে “দেবাড়হো” নামক গ্রামে সুভূতি শাক্য বাস করিতেন। সুভূতি সেই গ্রামের অধিপতি। তিনি করভদ্র গ্রামের কোলীয়কুলে যে কন্যার পাণিগ্রহণ করেন, তাহার গর্ভে সাত কন্যা উৎপাদন করিয়াছিলেন । পুত্ৰ হইয়াছিল কি না, তাহা জানা যায় নাই। কন্যাগুলির নাম যথাক্রমে বর্ণিত হইল। যথা- মায়া, মহামায়া, অতিমায়া, অনন্তময়া, চুলায়া, কোলীসেবা ও মহাপ্ৰজাপতি। রাজা সিংহ হনু পরলোক গমন করিলে পর, তাহার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ শুদ্ধোদান রাজ্যপ্ৰাপ্ত হইয়া উপযুক্ত সুভূতি শাক্যের প্রথম কন্যা মায়া এবং কনিষ্ঠা কন্যা মহাপ্ৰজাপতির পাণিগ্রহণ করেন। এই বিবাহের দ্বাদশবর্ষ পরে মহারাজ শুদ্ধোদনের ঔরসে ও মায়াদেবীর গর্ভে ভগবান अकनिशश्न ठान श्ांछिल ।