পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ә о. জীবনী-সংগ্ৰহ । barWYMAW* নিন্দ শ্রবণ করিতে পারেন না, স্বামীকে সুখী করিবার জন্য ইহারা সৰ্ব্বদাই চেষ্টা করিয়া থাকেন। এক দিন মায়াদেবী মহারাজের মুখমণ্ডল নিম্প্রভ দেখিয়া জিজ্ঞাসা করেন, “নাথ ! আজি আপনাকে এরূপ বিষন্ন দেখিতেছি কেন ? শরীর-গতিক ভাল আছে ত ?” মায়াদেবীর কথা শুনিয়া রাজা বলিয়াছিলেন, “প্রেয়সি ! আমি শারীরিক ভাল আছি বটে, কিন্তু মানসিক বেদনা আমায় বড় যন্ত্রণা দিতেছে। যদি আমি পুন্নাম নরক হইতে উদ্ধার না হইলাম, তবে আমার এ বিষয়বৈভবে কি আবশ্যক ?” মহারাজের কথা শুনিয়া মায়াদেবী যখন বুঝিলেন যে, এ দুঃখ দূর করা তাহার সাধ্যাতীত, তখন তিনি রাজাকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “স্বামিনী! যাহাকে বাক্যে প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু যাহার দ্বারা বাক্যের প্রকাশ হয়, আপনি তাহার আরাধনা করুন ; যাহাকে মনের দ্বারা চিন্তা করা যায় না, কিন্তু যাহার দ্বারা মন চিন্তা করিতে পারে, আপনি তাহারই আরাধন করুন ; যাহাকে চক্ষুর দ্বারা দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু র্যাহার দ্বারা চক্ষু দেখিতে পায়, আপনি র্তাহাকেই চিন্তা করুন ; যাহাকে কর্ণের দ্বারা শুনিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু যাহার দ্বারা কর্ণ শুনিতে পায়, আপনি তঁহাকেই আরাধনা করুন ; আপনার কামনা সিদ্ধ হইবে।” মায়াদেবীর উপদেশ শুনিয়া রাজার জ্ঞান জন্মে এবং তাহার পর হইতেই তিনি পরব্রহ্মের অৰ্চনায় নিযুক্ত হন। ভগবান সততই ভক্তের বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাকেন। এক দিবস মায়াদেবী তাহার প্রমোদ-গৃহের শীর্ষদেশে সখীসহ কথোপকথন করিতে করিতে নিদ্রিত হইয়া পড়েন এবং তদবস্থায় এইরূপ এক অপূৰ্ব্ব স্বপ্নদর্শন করেন ;-“একটী শ্বেতবর্ণের ষড় দন্তবিশিষ্ট সুন্দর হস্তী শ্বেতপদ্ম শুণ্ডে ধারণ করিয়া অতি ধীরে তঁহার কুক্ষি ভেদ করিয়া উদর-মধ্যে প্ৰবেশ