পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O R জীবনী-সংগ্ৰহ। SLE LESLTLSLA ALT eLELS SAS AAALLL LeSLLLLS STALSAeAASAS eM SeLL LSLAAS S LSLS SeT SLLLTS LSTS TL e LLLLSSSLLLL MeESES SeLLM eLL ALMMe LSLTLLe AALeLeeL AA LSLSLSLSL LSLTSE TLSLLM LSLLLLLLLS LS LLLLLLL ALTAAM LSL LESLALLLL L SLLLLLLSLA LLSLL LSLLL L LSLeM নানক সাধনার দ্বারা ত্রিকালজ্ঞ হইয়াছিলেন। এরূপ কথিত আছে যে, কোন এক ব্যক্তি অসদুপায়ে অর্থোপাৰ্জনের জন্য তীর্থ-যাত্রার পথে একটী পান্থনিবাস প্ৰস্তুত করিয়া রাখিয়াছিল। কোন ব্যক্তি সেই পান্থনিবাসে উপস্থিত হইলে, সে আনন্দের সহিত তাহার আতিথ্য সৎকার করিত, পরে রাত্ৰি হইলে, তাহাকে হত্যা করিয়া তাহার যথাসৰ্ব্বস্ব লুণ্ঠন করিত। নানক ঐ পথ দিয়া গমন সময়ে তাহার অতীন্দ্ৰিয় দৃষ্টির দ্বারা ঐ ব্যক্তির স্বভাব বুঝিতে পারিয়া তাহাকে সতর্ক করিয়া দেন এবং অবশেষে তাহাকে তাহার। পাপকাৰ্য্যের জন্য অনুতপ্ত করেন। নানক, মর্দন ও ভাইবালা শিষ্যদ্বয়ের সমভিব্যাহারে তীর্থ পৰ্য্যটন করিতে করিতে পুরী দর্শনাভিলাষী হইয়া কটকের মহানদীর তীরে কোন উপবনে কিছুদিন অবস্থিতি করেন। মৰ্দনা সঙ্গীতশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। তিনি গুরুর নিকট ভজন-গান করিতেন, ভাইবালা গুরুকে চামর ব্যজন করিতেন । নানকের রচিত ভজন-সংগীত লোকপ্ৰসিদ্ধ হইয়াছিল। তীর্থভ্রমণের সময়ে তিনি যে স্থানে অবস্থিতি করিতেন, সেই স্থানে দূরদূরান্তর হইতে বহু সংখ্যক লোক আসিয়া তাহাকে দর্শন ও ভজনালাপ শ্ৰবণ করিয়া পরম প্রীতিলাভ করিত ; কটকেও তাঁহাই হইয়াছিল। চৈতন্য ভারতী নামে কোন মহারাষ্ট্রীয় মঠধিপ, সেই বার্তা শ্রবণ করিয়া গুরু নানকের প্রতিভায় ঈর্ষ্যান্বিত হয়। সে ব্যক্তি ভৈরব-সিদ্ধ ছিল। সে এক দিবস ভৈরবকে ডাকিয়া বলিল, “মহানদীর তীরে উপবনমধ্যে গুরু নানক অবস্থিতি করিতেছে ; তুমি তথায় যাইয় তাহার প্রাণসংহার করিয়া আইসি।” ভৈরব তাহার আদেশে সেই উপবনের নিকট আইসে, কিন্তু তাহাতে প্ৰবেশ করিতে না পারিয়া চলিয়া যায়। কিছুক্ষণ পরে সে পুনরায় আইসে, আবার চলিয়া যায়। এইরূপ বারংবার গমনাগমন করিতে থাকায়, ভৈরব নানকের দৃষ্টিতে পতিত হয়। নানক মর্দনাকে বলেন, “ঐ ব্যক্তি