পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদাস সাধু। 9אכא দেখেন ; কিন্তু কোনরূপ সন্দেহের চিহ্ন প্ৰাপ্ত না হইয়া যোগীকে গহবর হইতে উঠাইবার অনুমতি প্ৰদান করেন। ঈশ্বরীলালের অনুমতি পাইয়া, শিষ্যেরা প্রস্তর সরাইয়া ফেলে ও দেখে যে, যোগী পূর্বাবস্থার ন্যায় বসিয়া আছেন। তঁহাকে গহবর হইতে তুলিয়া তাহার গাত্ৰস্থ গৈরিক বস্ত্ৰ খুলিয়া দেওয়া হইলে, সকলে দেখিলেন, সংজ্ঞাহীন হরিদাসের চক্ষু মুদ্রিত, হস্তপদাদি কুঞ্চিত এবং দন্তের সহিত দন্ত সংযুক্ত। ঐ সময়ে হরিদাসের আকৃতি-প্ৰকৃতি দেখিয়া সকলেই স্থির করিয়াছিলেন যে, হরিদাস ভবের খেলা সাঙ্গ করিয়াছেন ; কিন্তু শিষ্যেরা কয়েক ঘণ্টকাল সেবাশুশ্ৰষা করিবার পর, তাহার শুষ্কদেহে পুনরায় প্ৰাণের সঞ্চার হইল, ক্ৰমে ক্ৰমে তাহার হস্তপদাদি নড়িতে লাগিল; তিনি চক্ষুরুন্মীলন করিলেন, কিন্তু দুৰ্বলতার জন্য উঠিয়া দাড়াইতে পারিলেন না। হরিদাসের শুষ্কদেহে প্ৰাণের সঞ্চার হইতে দেখিয়া সকলে বিস্মিত হইল এবং তঁাহার অসাধারণ যোগবল দেখিয়া, ঈশ্বরের অংশ ভাবিয়া, কি হিন্দু, কি মুসলমান, সকলেই তাহার উদ্দেশে মস্তক নত করিতে লাগিল । হরিদাসের অদ্ভূত ক্ষমতার বিষয় জনসমাজে প্রচারিত হওয়ায়, মহারাজ রণজিৎ সিংহ উহা স্বচক্ষে দর্শন করিবার জন্য ঐ সাধুকে লাহােরে আনয়ন করেন। সাধু রাজসভায় উপস্থিত হইলে, মহারাজ রণজিৎ সিংহ তাহাকে সমাধিস্থ হইতে বলেন। রাজাজ্ঞা অবমাননা করা উচিত নয়, এইরূপ বিবেচনা করিয়া তিনি তঁহার কথায় স্বীকৃতহন। রাবী নদীর কুলে, “সর্দার গওলাসিংহ-ভরণীয়াওয়ালা” নামক সুরম্য উদ্যানে সমাধির স্থান নির্দিষ্ট হয়। সমাধির নির্দিষ্ট দিবস উপস্থিত হইলে, হরিদাসকে উক্ত বাগান-মধ্যে প্ৰাচীর-বেষ্টিত বারদ্বারী স্থানে লইয়া যাওয়া হয়। ঐ সময়ে তথায় মহারাজ রণজিৎ সিংহ তাহার পুত্ৰ কোরক সিংহ ও পৌত্র নিবনেহল সিংহ, এবং সের সিংহ, সুচেত সিংহ,