পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2ylቻ” জীবনী-সংগ্ৰহ কুন্থন করিতেছে এবং পীড়ার ভীষণ যন্ত্রণায় হা-হুতাশ ও ছট্‌ফট্‌ করিাতেছে। কুমার ঐ ব্যক্তির অবস্থা দেখিয়া ব্যথিতচিত্তে সারথিকে জিজ্ঞাসা করেন, “ছন্দক ! এ ব্যক্তি ওরূপ করিতেছে কেন?” কুমারের প্রশ্ন শুনিয়া ছন্দক নম্রস্বরে উত্তর করে, “প্ৰভু! ঐ ব্যক্তি ব্যাধিগ্ৰস্ত হইয়াছে। ব্যাধির প্রবল প্ৰকোপ সহ্যু করিতে অপারগ হওয়ায় ঐ ব্যক্তির এরূপ দুৰ্দশা । জীবের জীবন কখনও সমভাবে থাকে না, কোন-সময়েনা-কোন-সময়ে আমাদিগকেও ঐরূপ অবস্থায় পড়িতে হইবে।” সারথির কথা শুনিয়া সিদ্ধাৰ্থ পূর্বদিনের ন্যায় গৃহে ফিরিয়া আইসেন। অপর এক দিবস সিদ্ধাৰ্থ শকটারোহণে রাজবাটীর পশ্চিম তোরণ দিয়া ভ্ৰমণে বহির্গত হন। দৈববশতঃ তিনি সে দিবস পথিমধ্যে দেখেন যে, কতকগুলি ব্যক্তি একটা বস্ত্ৰাবৃত মনুষ্যের মৃতদেহ বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে এবং ঐ শবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ কয়েক জন লোক উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতে করিতে গমন করিতেছে। এই শোকাবহ দৃশ্য দর্শন করিয়া সিদ্ধাৰ্থ বাষ্পাকুলালোচনে সারথিকে জিজ্ঞাসা করেন, “ছন্দক । ঐ ব্যক্তির আপাদমস্তক বস্ত্ৰাবৃত কেন ? আর উহার সঙ্গিগণ ওরূপভাবে হাহাকার করিতেছে কেন ?” বিনয়নমস্বরে সারথি উত্তর করে, ‘কুমার । ঐ ব্যক্তির প্রাণবায়ু বহির্গত হইয়াছে। ঐ জীবন-শূন্য দেহ, অগ্নিতে দগ্ধ করিবার নিমিত্তই উহার লইয়া যাইতেছে। এই সংসার-মধ্যে উহাকে আর দেখিতে পাওয়া যাইবে না বলিয়াই, উহার আত্মীয়গণ ঐ রূপ হাহাকার করিতেছে।” সারথির বাক্য শ্রবণ করিয়া সিদ্ধাৰ্থ পুনর্বার জিজ্ঞাসা করেন, “ছন্দক ! এই মৃত্যু কি সকলেরই হইয়া থাকে ? আর সকলেই কি এইরূপ কঁদিয়া থাকে ?” পুনর্বার সারথি বিনীতভাবে বলে, “কুমার! এই পঞ্চ-ভৌতিক দেহের ইহাই পরিণাম। বৃক্ষে ফল জন্মিলে যেমন একদিন তাহার পতন