পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Regie জীবনী-সংগ্ৰহ । দাতা গুরুকে মনুষ্যজ্ঞান করিবে না, এবং তঁহাকে প্ৰত্যহ মানসে ও প্ৰত্যক্ষে প্ৰদক্ষিণ করিবে। উদয় ও অস্ত গমন সময়ে ধৌতবস্ত্ৰ পরিধান করিবে। কায়মনে অতিথির সেবা শুশ্ৰষা করিবে। নিয়ত আত্মোদ্বারের অদ্বিতীয় উপায় স্বরূপ হরিনাম ও সৎকৰ্ম্মে তৎপর রহিবে। মনুষ্যমাত্ৰকেই আপনি সহোদরের ন্যায় দেখিবো। সর্বস্থানে ও সকল সময়ে, সৎকথা ও বৈষ্ণবধৰ্ম্মের গুণকীৰ্ত্তন প্ৰভৃতির আলোচনা করিবে । প্রতিদিন আহারের পূর্বে, তুলসীতলস্থ পবিত্র মৃত্তিকা ভক্ষণ করিয়া দেহ শুদ্ধ করিবে এবং সকল জাতি নিরামিষ অন্ন ভক্ষণ করিবে। এই সম্প্রদায় সম্বন্ধীয় কোনও কথা কাহাকেও বলিবে না ; ও সত্যতে তৎপর থাকিয় গুরু সত্য এবং বিপদ মিথ্যা, ইহাই দৃঢ় প্রত্যয় করিবে।” যে দশটী কৰ্ম্ম করিতে নিষেধ করিয়াছেন, তাহা এই,- কায়-কৰ্ম্ম তিনটী-পরাস্ত্রীগমন, পর্যদ্রব্যহরণ ও পরািহত্যা বা পরপীড়নকরণ। মনঃ-কৰ্ম্ম তিনটী—পরদ্রব্যহরণের ইচ্ছা, পরহিত্যাকরণের ইচ্ছা ও পরাস্ত্রীগমণের ইচ্ছা। বাক্য-কৰ্ম্ম চারিটীি-মিথ্যাকথন, কটুকথন, অনৰ্থক বচন ও প্ৰলাপडॉ० । এ সম্প্রদায়ী গুরুদিগের নাম মহাশয়, শিষ্যের নাম বরাতি। ইহার শিষ্যকে প্ৰথমে “গুরুসত্য” এই মন্ত্ৰ প্ৰদান করেন। পরে তঁহাদের ভক্তি প্ৰগাঢ় হইলে সমস্ত মন্ত্র উপদেশ দেন, যথা— “কৰ্ত্ত আউলে মহাপ্ৰভু, আমি তোমার সুখে চলি-ফিরি, তিলাৰ্দ্ধ তোমা ছাড়া নহি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, দোহাই মহাপ্ৰভু।” আজও প্ৰতি বৎসর ফাস্তুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ঘোষপাড়ায় একটা করিয়া উৎসব হইয়া থাকে।