পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵՀ জীবনী-সংগ্ৰহ। একজন অসাধারণ শাস্ত্ৰজ্ঞানী মহাপুরুষ কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটে থাকিতেন। স্বামীজী ইহার নিকটে সন্ন্যাসধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া বিশুদ্ধানন্দ সরস্বতী নামগ্রহণ করেন। গৌড়স্বামী স্বামীজীকে দীক্ষিত করিবার পূৰ্ব্বে ইহার আরও তিনজন শিষ্য ছিলেন। ঐ সকল শিষ্যের মধ্যে স্বামী বিশ্বরূপজাই সৰ্বপ্ৰধান ও প্ৰিয়তম শিষ্য। এক দিবস কোন একটী বিষয় লইয়া স্বামী বিশ্বরূপজীর সহিত বিশুদ্ধানন্দের তর্ক উপস্থিত হয়। যদিও ঐ তর্কে স্বামী বিশ্বরূপজী পরাস্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু বিশুদ্ধানন্দ স্বামী কয়েক মুহুর্তের জন্য র্তাহার শান্তভাব হারাইয়া উগ্ৰমূৰ্ত্তিধারণ করিয়াছিলেন। * স্বামীজীর হঠাৎ এইরূপ পরিবর্তন দেখিয়া গৌড়স্বামী আন্তরিক কিছু দুঃখিত হইয়াছিলেন। গুরুজীর দুঃখভাব বুঝিতে পারিয়া স্বামীজী অতিশয় লজ্জিত হন এবং সেই অবধি ইনি স্বামী বিশ্বরূপজীকে স্বীয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও গুরুর ন্যায় সম্মান করিতেন । >v(t。 খৃষ্টাব্দে গৌড়স্বামী দেহরক্ষা করেন। ঐ সময়ে গুরুদেব শিষ্যদিগকে আপনার কাছে ডাকাইয়া বিবিধ উপদেশ দেন এবং স্বামী বিশুদ্ধানন্দকে স্বীয় আসনের প্রতিনিধি নির্দেশ করেন। গুরুদেবের । “দেহান্তে স্বামী বিশুদ্ধানন্দ গুরুদেবের প্রতিষ্ঠিত গাদিতে স্বামী বিশ্বরূপজীকে উপবেশন করিতে বলেন ; কিন্তু বিশ্বরূপজী ইহাকে এই বলিয়া বুঝান যে, “বিশুদ্ধানন্দ ! তুমি গুরুদেবের অন্তিমকথা স্মরণ করা। যদিও আমি তোমাপেক্ষা বয়সে জ্যেষ্ঠ, তথাপি তুমি জ্ঞানবৃদ্ধ। আর যদি তুমি গুরুদেড়বার অবর্তমানে আমাকেই গুরু বলিয়া স্বীকার কর, তাহা হইলে আমি তোমায় বলিতেছি, তুমি এই গদি গ্ৰহণ কর।” স্বামীজী অগত্যা গদি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, কিন্তু সকল সময়েই ইনি বিশ্বরূপজীকে গুরুর ন্যায় শ্রদ্ধা ভক্তি করিতেন ও তঁহার আদেশপালন করিতেন।