পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেকানন্দ স্বামী। tances tending to press it down oirÍir Color *38 Corr feid স্বরূপ প্ৰকাশ করিবার চেষ্টা করিতেছেন, আর কতকগুলি শক্তি যেন উহাকে দাবাইয়া রাখিবার চেষ্টা করিতেছে। এই প্ৰতিদ্বন্দী শক্তিসমূহকে পরাস্ত করিয়া নিজ শক্তি প্ৰকাশের অবিরত চেষ্টার নামই জীবন।” মহারাজ স্বীর্মীজীকে একটী একটী করিয়া যে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন, স্বামীজী সরলভাবে তাহার সবগুলিরই উত্তর প্রদান করিলেন। স্বামীজীর প্রশ্নোত্তরে মহারাজ তাহার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এবং বিজ্ঞতার পরিচয় পাইয়া অত্যন্ত প্রীত হন এবং তঁহাকে প্ৰায় দুইমাসকাল খেতড়িতে রাখিয়া তাহার সেবা-শুশ্ৰষা করেন। খেতড়ির মহারাজ নিঃসন্তান ছিলেন, সেইজন্য তিনি প্ৰায়ই ম্রিয়মাণ থাকিতেন। স্বামীজীর উপর তাহার প্রগাঢ় ভক্তি ও বিশ্বাস হওয়ায় তিনি এইরূপ চিন্তা করেন যে, “স্বামীজী আশীৰ্বাদ করিলে নিশ্চয়ই আমার সন্তান হইবে, অতএব আমার মনোবেদন তাহাকে একবার জানাইতে হইবে।” যে সময়ে স্বামীজী মহারাজের নিকট হইতে বিদায় লইয়া খেতড়ি পরিত্যাগ করেন, সেই সময়ে মহারাজ তঁহাকে বলেন, “স্বামীজী ! আপনি আশীৰ্বাদ করুন, যেন আমার একটী পুত্রসন্তান জন্মে।” স্বামীজীও সেইমত আশীৰ্ব্বাদ করেন। এই ঘটনার প্রায় দুইবৎসর পরে ১৩০০ বঙ্গাব্দে মহারাজের একটী পুত্ৰ হয়। . স্বামীজীর আশীৰ্ব্বাদে পুত্র জন্মিয়াছে, অতএব স্বামীজী স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া পুত্রের জন্মোৎসব-ক্রিয়া সম্পন্ন করেন, ইহাই মহারাজের একান্ত ইচ্ছ। তঁহার ইচ্ছা পূরণ করিবার জন্য জগমোহন লাল স্বামীজীর উদ্দেশে গমন করিলেন। জগমোহন জানিতেন, স্বামীজী মান্দ্ৰাজে অবস্থান করিতেছেন, কিন্তু মান্দ্রাজের কোন স্থানে আছেন, তাহ জানিতেন না । যাহা হউক, তিনি মান্দ্ৰাজে উপস্থিত হইয়া বহু অনুসন্ধানের পর জানিতে