পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Voy জীবনী-সংগ্ৰহ জাফনা সহরে আসিয়া পৌছিলে সন্ত্রান্ত ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিগণ র্তাহাকে হিন্দুকলেজ-গৃহে অভ্যর্থনা করেন। এই স্থানে তিনি কয়েক দিবস বেদান্ত প্রচার করিয়া, জলযানারোহণে পাম্বানে আগমন করেন। সেতুবন্ধ রামেশ্বরের একাংশকে পাম্বান বলে। সেতুবন্ধ রামেশ্বর, রামনাদ রাজার অধিকারভুক্ত। স্বামীজী পাম্বানে পৌছিলে রামনাদের রাজা তঁহাকে অভ্যর্থনা করেন । পাম্বানবাসীরা স্বামীজীকে অভিনন্দন প্ৰদান করাস্বত্বেও রামনাদরাজ তাহাকে একখানি স্বতন্ত্র অভিনন্দন প্ৰদান করেন। স্বামীজী রামেশ্বর-মন্দিরে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় বক্তৃতা করিয়া, রামনাদ-রাজার অনুরোধে রামনাদে আগমন করেন। তিনি রামনাদে পদার্পণ করিলে, তাহার সম্মানের জন্য নানাবিধ আতসবাজী মহা ধূমধামের সহিত দগ্ধ করা হয়। রামনাদ-রাজ স্বামীজীকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তি করিতেন। তিনি পাশ্চাত্য দেশে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া ভারতে আসিয়া প্ৰথমে যে স্থানে পদার্পণ করেন, সেইস্থানের স্মরণচিহ্নস্বরূপ রাজা বাহাদুর পাম্বানে একটী স্মৃতিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। ঐ স্তম্ভের গাত্রে যে সকল কথা খোদিত আছে, उांशब दशाश्वात ५शे,- ਕੇ বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য দেশে বেদান্তধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আশ্চৰ্য্য। রূপে কৃতকাৰ্য্য হইয়া, তঁহার ইংরাজ-শিষ্যগণের সহিত ভারতের যে স্থানে প্ৰথম পদার্পণ করেন, রামনাদের রাজা ভাস্কর সেতুপতি সেই স্থানে এই স্মৃতিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিলেন।” i রামনাদ হইতে স্বামীজী কলিকাতায় আগমন করিলে, রাজা রাধাকান্ত দেবের বিস্তৃত ঠাকুর-বাটীর নাটমন্দিরে একটী বিরাট সভা করিয়া তথায় তঁহাকে অভ্যর্থনা এবং অভিনন্দন প্ৰদান করা হয় । স্বামীজী কলিকাতায় কিছুদিন অতিবাহিত করিয়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও কামরূপে গমন করেন। এই স্থানে তঁহার শরীর অসুস্থ হওয়ায়, তিনি