পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নির্বাণ । এক দিবস পওহারী বাবা গভীর নিশীথ সময়ে গঙ্গাস্নান করিয়া নির্জন নদীকূলে যোগক্রিয়া করিতেছিলেন। দৈবক্রমে তাহার যোগাক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যোগে ব্যাঘাত ঘটিবামাত্রই তাহার শরীর অসুস্থ হইয়া পড়ে। তঁহার কি অসুখ, তাহা জানিবার জন্য অনেকে অনেকবার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি কোন কথাই প্ৰকাশ করেন नाहे । . বঙ্গাব্দ ১৩০৫ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের ৭ই তারিখের প্রাতঃকালে পওহারী বাবার ভ্রাতা এবং ভ্রাতপুত্ৰ বদরিনারায়ণ, বারাণসী কলেজের পণ্ডিত ভাগবতাচারী, পণ্ডিত জনাৰ্দন প্ৰভৃতি পাঁচ ছয়জন ব্যক্তি আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন। তাহারা দেখিলেন, আশ্রম-মধ্যস্থ কুটীর হইতে ধূম নিৰ্গত হইতেছে। উহারা মনে করিয়াছিলেন, উহা হোমের ধূম। পরে যখন দেখিলেন, শুভ্ৰ মেঘের ন্যায় ধূমরাশি উত্থিত হইতেছে এবং সমস্ত ঘরে অগ্নি জ্বলিয়া উঠিয়াছে, তখন তাহারা আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। বদরিনারায়ণ বিশেষ বিবরণ জানিবার জন্য কুটীরের উপরে উঠিয়া দেখিলেন, সমস্ত ঘরই জলিতেছে। তিনি চীৎকার করিয়া উঠিলেন এবং করযোড়ে বলিলেন, “মহারাজ! অগ্নি নির্বাণ করিতে অনুমতি দিউন।” এই সময়ে পওহারী বাবা একবার তঁহার মুখের দিকে ফিরিয়া কি ইঙ্গিত করিলেন, বদরিনারায়ণ তাহা বুঝিতে পারিলেন না। বদরিনারায়ণের চীৎকার শুনিয়া পওহারী বাবার প্রিয়সেবক ভৃগুনাথ এবং অন্যান্য দুই একজন সেই কুটীরের উপর আরোহণ করিলেন। র্তাহারা দেখিলেন, তাহার সদ্যঃ মাত আৰ্দ্ৰ কেশরাশি আলুলায়িত হইয়া পৃষ্ঠদেশ আবৃত করিয়া পড়িয়া রহিয়াছে, সেই তপ্তকাঞ্চননিভ অঙ্গে ঘূতবিলেপিত