পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NORe জীবনী-সংগ্ৰহ । সৰ্ব্বদাই রত। যথেচ্ছ। আহার করিয়া এবং হিন্দু-নিয়মের বিপরীত কাৰ্য করিয়াও হিন্দু বলিয়া পরিচয় দিতে লজ্জিত হয় না । বৈষ্ণবগণ পূর্ণ স্লেচ্ছাচারসম্পন্ন হইয়াও বৈষ্ণব-সমাজের অগ্ৰণী হইতে বিশেষ সচেষ্ট । অখাদ্য ও যবনের পাক খাইয়াও র্তাহাদের বৈষ্ণবতা নষ্ট হয় না, নিজ হন্তে পাখী মারিয়া রন্ধন করিয়া খাইলেও বৈষ্ণবতা বজায় থাকে। এখন আর সমাজের কোন ক্ষমতা নাই। এখন ক্ষমতা কেবল ঐশ্বৰ্য্যের। র্যাহাদের অর্থ আছে, তঁহাদেরই এখন জাত আছে, তাহারা অতিল্লেচ্ছ হইলেও হিন্দুসমাজের প্রধান নেতা হইয়া থাকেন। মহামহোপাধ্যায় ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতগণ র্তাহার বাটীতে আহার করিয়া আপনাকে কৃতকৃতাৰ্থ মনে করিয়া থাকেন। উঃ, কালের কি পরিবর্তন ! যে সময়ে শ্ৰীচৈতন্যদেব ভারতের নানাস্থান পৰ্যটন করিয়া বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছিলেন, যে সময়ে সৎ, অসৎ, ধনী, দরিদ্র, পণ্ডিত, মুৰ্থ, প্রভৃতি শত সহস্ৰ হিন্দু ও মুসলমান তাহার মুখ-নিঃস্থত সুমধুর হরিনাম শ্ৰবণ করিবার জন্য আকুল থাকিত, সেই সময়ে, রূপ ও সনাতন, চৈতন্যদেবের মহিমা অবগত হইয়াছিলেন। র্তাহারা চৈতন্যদেবের গুণগরিমা শুনিয়া অবধি তাহার সহিত সম্মিলিত হইবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু রাজকাৰ্য্যের প্রতিবন্ধকতাহেতু অভিলাষ পূর্ণ করিবার সময় পাইতেন না। এক দিবস শ্ৰীৰূপ আপনার এবং সনাতনের মনের অবস্থা একখানি পত্রে লিখিয়া মহাপ্রভুর নিকট পাঠাইয়া দেন। চৈতন্যদেব ঐ পত্ৰখানি পাঠ করিয়া তাহদের মনের অবস্থা বুঝিতে পারিয়াছিলেন এবং উভয় ভ্রাতার সান্ত্ৰনার জন্য এক শ্লোক রচনা করিয়া পঠাইয়া দিয়াছিলেন। cल caांकी (a३,- “পরব্যসানিনী নারী ব্যগ্ৰাপি গৃহকৰ্ম্মসু । তদেবাস্বাদয়ত্যন্তর্নবসঙ্গ রসায়নং ৷”