পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীর্যপ ও সনাতন গোস্বামী । VORd তিনি রাজকাৰ্য্যে সম্পূর্ণ অমনোযোগিতা দেখাইতে লাগিলেন। রাজার ጆሻ” লোক আসিলে তিনি বলিতেন, “শরীর অসুস্থ হইয়াছে।।** রাজ-বৈদ্য পরীক্ষা করিয়া জানিলেন, সকলই মিথ্যা। পাতসাহ স্বয়ং একদিন সনাতনের গৃহে উপস্থিত হইয়া প্ৰবোধবাক্যে অনেক বুঝাইলেন, কিন্তু সনাতনের ব্যাকুল প্ৰাণে তাহা স্থান পাইল না। পাতসাহ দেখিলেন, সনাতনকে গৃহে রাখিবার আর উপায় নাই, সেই জন্য তিনি বিষন্ন অন্তরে তাহাকে কারাগারে নিক্ষেপ করিলেন। উড়িষ্যার রাজা প্ৰতাপরুদ্রের সহিত যখন হুসেন সার বিবাদ চলিতেছিল, কাৰ্য্যবশতঃ এই সময়ে হুসেন সাকে দক্ষিণ প্রদেশে যাত্ৰা করিতে হইল। বুদ্ধিমান ও সুচতুর মন্ত্রী সনাতনকে সঙ্গে লইয়া যাইতে তিনি মনস্থ করিলেন। সনাতন অস্বীকৃত হইয়া উত্তর দিলেন যে, “আমি আপনার সহিত দেবতা-নিগ্ৰহ ও ব্রাহ্মণের উপর অত্যাচার করিতে যাইব না।” সনাতনের কথায় পাতসাহ ক্রুদ্ধ হইয়া চলিয়া গেলেন। হুসেন সা উড়িষ্যায় গমন করিলে, সনাতন কারারক্ষককে মিনতি করিয়া বলিল, “দেখ, ভাই ! আমি এক সময়ে তোমার কত উপকার করিয়াছি, এখন তুমি তাহার প্ৰত্যুপকার কর এবং তোমার সন্তানসন্ততির জলযোগের জন্য পাঁচ সহস্ৰ মুদ্র গ্ৰহণ কর।” কারারক্ষক ইহাতে অসম্মত হইল। সনাতন কি করিবেন, তিনি পুনরায় উহাকে বুঝাইয়া বলিলেন যে, “তোমার কোন ভয় নাই, আমি ফকির হইয়া দেশদেশান্তরে চলিয়া যাইব, আমি, আর এদেশে থাকিব না। তুমি পাতসােহকে যাহা বুঝাইয়া দিবে, তিনি তাহাঁই বুঝিবেন। আমি তোমাকে আরও দুই সহস্র মুদ্র দিতেছি।” সনাতন কারারক্ষককে এইরূপে বশীভুত করিয়া, সাত সহস্ৰ মুদ্রা দিয়া ভূত্য ঈশানের সহিত রজনীযোগে কারাগার হইতে পলায়ন করিলেন। ঈশানের নিকট কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রা থাকায় পথিমধ্যে পাতড় পর্বতের নিকট কয়েকজন