পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

96 o জীবনী-সংগ্ৰহ। ১৯। অন্যের নিকটে যদি সহিষ্ণুতার আশা কর, তবে অন্যের প্ৰতিও সহিষ্ণু হও । ২০ । অনেক ক্ষুদ্রচেতা লোকে বলিয়া থাকে যে, দেখ ঐ লোকটী কেমন সুখী, উনি কত ধনী, কেমন সম্রান্ত ও মহৎ ব্যক্তি ; কিন্তু একটু বুঝিয়া দেখিলে, জানিতে পরিবে যে, সংসারের সম্পত্তিরাশি অকিঞ্চিৎকর, অস্থায়ী, ভারজনক এবং দুঃখ-উৎপাদক। ঐহিক সম্পত্তির অধিকারী হইলে মানুষ সুখী হয় না । ২১। অনেক প্রকার আকাজক্ষা আমাদের মনে উদিত হইয়া আমাদিগকে বলপূর্বক নানাদিকে চালনা করে ; ইহাতে আমাদিগকে সময়ে সময়ে বিপদে পড়িতে হয়, সুতরাং উহা দমনের চেষ্টা করা উচিত। ২২। অপরিমিত ব্যয় কখনও করিও না । অপরিমিত ব্যয় করিলে আজীবনে দুঃখকষ্ট মোচন হয় না, বরং দিন দিন দরিদ্রতা বৃদ্ধি ও সঙ্গের সাখী হয়, অবশেষে ঋণজালে জড়িত হইয়া সর্বস্বান্ত হইতে হয়। ২৩। অমুক কেন কষ্ট পায়, অমুক কেন সুখভোগ করে, অমুকের বা কেন এত উন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তা বা তর্কবিতর্ক করিও না। এই সকল বিষয় মানব-বুদ্ধির অতীত। ঈশ্বরের অভিসন্ধির নিগুঢ়তত্ব জানিবার মানুষের অধিকার নাই। ২৪। অহিতকারী ব্যক্তি আপনারই ক্ষতি করে এবং সে ঈশ্বরের বিচার এড়াইতে পারে না। ২৫। আত্মীয় ব্যক্তির সহিত কখনও দেনা-পাওনা সম্বন্ধ রাখিও না। ২৬। আপনাকে অন্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করিও না। তুমি ত জান না, তাহার সন্তানমণ্ডলীর মধ্যে তুমি কোন স্থান লাভ করিবে। ২৭। আমরা অন্যকে নির্দোষ দেখিতে চাই, কিন্তু স্বীয় দোষ ३tशक्षन कमेिं नां ।