পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুবচন সংগ্ৰহ বা শত উপদেশ। VV) ৪৮। কাহারও সহিত তর্ক করিও না । কারণ তর্ক করিতে করিতে পরস্পরের মধ্যে বিবাদ ঘটিতে পারে। যদি একান্ত আবশ্যক বোধ হয়, অগ্ৰে ক্ষমা চাহিয়া লইয়া নিজের বক্তব্য মিষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবে। ৪৯। কাহারও গলগ্ৰহ হইয়া থাকিও না। নিজে নানাপ্রকার কষ্ট ও পরিশ্রম করিয়া শাক-অন্ন খাওয়া ভাল, তন্ত্ৰাচ কাহারও গলগ্ৰহ হইয়া কালিয়া পোলাও ভক্ষণ করা উচিত নয়। ৫০। কুসংসর্গ পরিত্যাগ করিও। কথায় আছে, “সাধুসঙ্গে স্বর্গে, আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।” । ৫১। কোন কাৰ্য্য কঠিন বলিয়া মনে করিও না, বা অবহেলা করিও না, একাগ্ৰচিত্তে চেষ্টা করিলেই তাহা সফল হইতে পারে। এ ৫২। কেহ তোমার অনিষ্ট করিলে বা তোমার প্রতি অন্যায় ব্যবহার করিলে বেদন পাও এবং তাহাকে শাস্তি প্ৰদান করিতে উৎসাহন্বিত হও; কিন্তু তুমি কতজনের প্রতি অন্যায় ব্যবহার করিয়া থাক, তাহা একবারও ভাবিয়া দেখা না । ৫৩। গুরুজনের প্রাণে কখনও আঘাত দিও না । গুরুজনের প্রণে আঘাত দিলে কেহ কখনও সুখী হইতে পারে না । ৫৪। চেষ্টা ও পরিশ্রম দ্বারা আমি এত উন্নতি করিয়াছি, এরূপ বলা বা মনে করা কেবল মুর্থতার পরিচয় মাত্র ; কারণ দেব-প্ৰসাদ ব্যতীত, দৈব-বল ভিন্ন, তোমার কিছুই করিবার ক্ষমতা নাই। কথায় বলে-“মানুষের অভিপ্ৰায়, বিধি নিয়ত খণ্ডায়।” t S BBDSBDDL LgO DBBD BLDSDD S DBDLDz BDL অধিক আছে, ইহা ভাবিয়া নম্রতা অবলম্বন করা কীৰ্ত্তব্য। ৫৬। দ্বেষ, হিংসা পরনিন্দ কখনও করিবে না। সাধারণতঃ দেখা যায়, লোকে পরনিন্দ ও পরচর্চা করিতে যেমন আমোদ পায়, জী-২৩ s