পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচাৰ্য্য । (፩ ዓ একেবারে বিস্মিত হন এবং একটু অপ্রতিভ হইয়া বলেন, “মাতঃ, আপনি ছয়মাস কাল এইভাবে অবস্থান করুন, আমি কামশাস্ত্ৰ শিক্ষা করিয়া আসি।” এই কথা বলিয়া শঙ্করাচাৰ্য্য কামশাস্ত্ৰ শিক্ষা করিবার छाछ दश्र्छौिऊ शून् । শঙ্কর সারসবানীর নিকট বিদায় হইয়া পথিমধ্যে যাইতে যাইতে দেখেন, এক রাজার মৃতদেহ শ্মশানে নীত হইতেছে। ইহা দেখিয়া তিনি মৃতসঞ্জীবনী বিদ্যা-প্রভাবে রাজার দেহ-মধ্যে প্ৰবেশ করেন এবং স্বদেহরক্ষার্থ চারিজন শিষ্যকে নিযুক্ত করিয়া যান। রাজদ্দেহপ্রবিষ্ট শঙ্করাচাৰ্য্য রাণীর নিকট সমস্ত কামশাস্ত্ৰ শিক্ষা করেন । কিন্তু রাণী অতি চতুরা, ইদানীং রাজার আচার ব্যবহার তাহার কাছে ভাল লাগিতা না, কেমন একটু সন্দেহ হইত। এক দিবস তিনি কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি এই আদেশ করেন যে, “তোমরা ইতস্ততঃ অনুসন্ধান করিয়া দেখ, কোথাও মৃতদেহ পড়িয়া আছে কি না, যদি থাকে, তবে তাহ দাহ করিয়া ফেলি।” কস্মচারীরা অনুসন্ধান করিয়া শঙ্করের শবদেহ দেখিতে পায় এবং শিষ্য দিগের নিকট হইতে উহা কাড়িয়া লইয়া দাহ করিবার উদ্যোগ করে । এদিকে শিষ্যেরা ছদ্মবেশধারী শঙ্করের নিকট গিয়া সমস্ত বিষয় নিবেদন করে। শঙ্করাচাৰ্য্য গিয়া দেখেন, তাহার চিতা ধু ধু করিয়া জলিতেছে। তিনি আর কাল বিলম্ব না করিয়া রাজদেহ হইতে নিজ দেহে প্রবেশ করেন ও জ্বলন্ত চিতা হইতে লাফাইয়া পড়েন। তিনি দগ্ধ শরীরের প্রতি দৃষ্টিপাত না করিয়া নৃসিংহদেবের স্তব করিতে প্ৰবৃত্ত হন। নৃসিংহদেব অমৃতবৃষ্টি করিয়া তাহাকে আরোগ্য করেন। আচাৰ্য্য সেই স্থান হইতে সারসবানীর নিকট গমন করেন। সারসবানী *। দেখিলেন,

  • শঙ্কর-দিগ্বিজয় নামক গ্ৰন্থ প্রণেতা বলেন—“মহাদেৰ শঙ্করাচাৰ্য্যরূপে অবতীর্ণ হইবার সময় কাৰ্ত্তিককে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “তুমি ভট্টাপাদ কুমারিল নামে