পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t8 জীবনী-সংগ্ৰহ । শুনিলাম, তুমি তাঁহাতে ভাষ্য রচনা করিয়াছ। ঐ ভাষ্য শ্রবণ করিবার জন্য আমি তোমার নিকট গমন করিতেছিলাম।” মহাযোগী গৌরীপাদ, স্বামীর কথা শ্রবণ করিয়া শঙ্করদেব ভাষ্যখানি তাহার করে অৰ্পণ করেন । যোগীবির আদ্যোপান্ত উহা পাঠ করিয়া আনন্দাশ্রতে বক্ষঃস্থল প্লাবিত করেন এবং শত শত প্ৰশংসাবাদ করিতে করিতে গৃহে প্ৰত্যাগমন করেন। শঙ্করাচাৰ্য্য ক্ৰমে ভূস্বৰ্গ কাশ্মীরে আসিয়া উপস্থিত হন । এক দিবস তিনি বিদ্যাভদ্রাসনে আরোহণ করিতেছেন, এরূপ সময়ে সারদাদেবী দৈববাণীতে র্তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “শঙ্কর । তোমার দেহ অশুদ্ধ। ঐ পীঠে আরোহণ করিতে হইলে দেহ শুদ্ধির আবশ্যক। অঙ্গনা উপভোগ করিয়া তুমি কামকলা ও কামশাস্ত্ৰ শিক্ষা করিয়াছ, সেইজন্য তোমার দেহ অপবিত্র রহিয়াছে।” দৈববাণী শ্রবণ করিয়া শঙ্করাচাৰ্য্য বলেন, “দেবি ! আমি আজন্ম এদেহে কোনরূপ পাপকাৰ্য্য করি নাই, অন্য শরীরে যাহা কৃত হইয়াছে, তাহাতে কদাচি আমার দেহ অশুচি হইতে পারে না। দেবি ! পূৰ্ব্বজন্মে যে ব্যক্তি শূদ্র ছিল, পরজন্মে সুকৃতিবশে ব্রাহ্মণ-কুলে তাহার জন্ম হইলে সে কি বেদে অনধিকারী হইবে ?” শঙ্করের এই যুক্তিপূর্ণ কথা শ্ৰবণ করিয়া সারদা দেবী বিদ্যাভদ্রাসনে আসিতে অনুমতি দেন । শঙ্করাচাৰ্য্য ঐ স্থানে কিছুদিন থাকিয়া কেদারনাথে গমন করেন। ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য বেদব্যাসের বরে বত্ৰিশ বৎসর কাল মাত্র জীবিত থাকিয়া, কেদারনাথ পৰ্ব্বত-সন্নিধানে অপ্রকট হন । এই অল্প কালের মধ্যে তিনি সৰ্ব্বশাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত হইয়া বৌদ্ধমত খণ্ডন, আৰ্য্যধৰ্ম্মের উদ্ধার, ব্ৰহ্মসুত্র-ভাষ্য, দশোপনিষদ-ভাষ্য, শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ