পাতা:জীবরহস্য.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষী । *৪৩ দিয়াছিল, তাহাতে দুইপ্রহর না হইতেই সমুদায় কপোত-গুলাই পুনরায় হলাণ্ডে গিয়া পৌছে । তন্মধ্যে নেপোলিয়ন নামে একটি কপোত বেলা সওয়া দশটার সময়ে আপন বসতি-স্থানে ষায় । লগুন হইতে হলাণ্ড ঠিক মোজ সমান রেখায় প্রায় একশত পঞ্চাশত ক্রোশ দূর হইবে, ছয় ঘন্টার মধ্যে এত দূর পথ যাওয়া বড় সামান্য ব্যাপার নহে, প্রত্যেক ঘণ্টায় পার্থীট। অবশ্যই পচিশ ক্রোশ পথ গমন করিয়াছিল। গ্রহবাজ কপোতেরা কখন ঠিক সোজা উড়িয়া যায় না, চক্রের ন্যায় প্রথমতঃ শূন্যমার্গে ঘুরিতে ফিরিতে থাকে, পরে সোজ। পথে উড়িতে আরম্ভ করে, ইহাতে বোধ হয় অনেক সময় ব্লথ নষ্ট হয়, অতএব তিন চারিবার ফিরিয়া সুরিয়া সময় নষ্ট করিয়াও যখন প্রথম কপোতটা অত্যপ কালের মধ্যে হলাণ্ডে উপস্থিত হুয়, তখন সে কত শীঘ্র গমন করিয়াছিল, তাহ আল্লভধ করাই দুষ্কর । কপোত পক্ষির উডডয়ন-শক্তির চমৎকারিত বিষয়ে তামেরিক দেশে আর একটি অশ্চিম্য ঘটনা ঘটে, তাহ। এই, এক ব্যক্তি পিস্তল দ্বারা একটি কপোত বধ করিয়াছিল, বধ করিয়৷ পক্ষীটার উদর বিদীর্ণ করাক্তে সে দেখিতে পাইল যে, তন্মধ্যে গোট কয়েক কাওয়াফল ভাজা রহিয়াছে । চারি পাঁচ ঘণ্ঠার উদ্ধ পক্ষীট। তাহ। ভোজন করে নাই । তদর্শনে ঐ মনুষ্য সাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইয়া মনে ২ বিবেচনা করিল, কাওয়া ফল তো আমাদের দেশে জন্মায় না, যে স্থানে উহা উৎপন্ন হয়, সেস্থান প্রায় এখান হইতে দুষ্টশত ক্রোশ দূর হইবে, তবে পক্ষীট কেমন করিয়া চারি ঘন্টার মধ্যে