বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীয়ন্ত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Զap S নয়নতারা ক্লাব ও পাঠাগারের বড় হল ঘরটাতে আজি সন্ধ্যায় একটি সভা বসেছে। গোড়ায় এটির নামকরণ হয়েছিল স্থানীয় একজন প্ৰবল প্রতাপান্বিত ম্যাজিষ্ট্রেটের নামে, যদিও স্বগীয়া নয়নতারার উপযুক্ত ছেলে ভৈরবই চান্দা দিয়েছিল সব চেয়ে বেশি-দি ব্যাণ্ডেন পাবলিক লাইব্রেরি অ্যাণ্ড ক্লাব। ক’বছর আগে একুশ সালে বাংলা ঘুরবার সময় গান্ধীজী ঘণ্টা তিনেকের জন্য এখানে পদার্পণ করে এক স্তােপ বিলাতী কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যান, সেই আগুনে পুরানো নামটি পুড়ে এই নাম হয়েছে। ক্লাব শব্দটাকে বদলে সঙ্ঘ করার চেষ্টাও হয়েছিল, কিন্তু মতভেদ ঘটে। সঙ্ঘ বলতে নাকি রাজনৈতিক গন্ধ এসে যায়! বিশেষ কোন রাজনৈতিক আন্দোলন চালাবার উদ্দেশ্যেই সঙ্ঘ করা হয়, এই শহরেই যেমন দু-তিনটি আছে। এটা হল বিশুদ্ধ ক্লাব, দশজন ভদ্রলোকের মেলামেশা গল্পগুজব ব্রিজ খেলার এবং মাঝে মাঝে তরুণদের সহযোগিতায় পূজা পাৰ্ব্বণ অভিনয় ইত্যাদি আনন্দ করার স্থান। অনর্থক রাজনীতির গন্ধওলা সজঘ নামে দরকার কি ? তবে লাইব্রেরিকে পাঠাগার করতে করে আপত্তি হয় নি। ভৈরবের ইচ্ছা ছিল এই সুযোগে নিজের নামটা জুড়ে দেবে। চেষ্টা করলে হয়তো পারত। দুটি কারণে ভরসা হয় নি। ব্যাণ্ডেন সায়েব উঠতে উঠতে তখন অনেক উচুতে উঠে সশরীরে। বৰ্ত্তমান, নাম খারিজের জন্য তার রাগটা নিজের উপর নেওয়া উচিত হত না। তা ছাড়া ব্যাণ্ডেনের বদলে নিজের নামটা দিলে লোকেও গালমাল করত। হয়তো পাণ্টা প্ৰস্তাব করত মৃত বা জীবিত কোন স্মরণীয় 'স্বদেশী নেতার নাম দিতে। তখন আর না বলার পথ থাকত না, ভৈরব নিজেও (确巧)一》