বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক-গাড়ী। ১০১ শেষ পর্যন্ত একতরফা রইল না। আমরা এত জোরে যাচ্ছিলাম এবং তারা প্রথমে এত হতভম্ব হয়ে গিছলাে যে আমরা তাদের সার অর্ধেক পার হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তারা বুছতেই পারেনি যে ব্যাপারখানা কি হল তারপর সামাল সামাল পড়ে গেল আর কি। সমস্ত সা’র জুড়ে এমন হকার পেড়ে উঠলো যে বিলক্ষণ ভয়ের কথা। কতকগুলাত আমাদের দিকে ছুটে এসে হিচড়ে গাড়ীর পেছনে উঠবার চেষ্টা করতে লাগল, আমরা তাদের আঙ্গুলে ঘা মেরে আর জোর করে হাত খসিয়ে দিয়ে সরিয়ে দিতে লাগলুম ! একজন যে কিছু বেশী ঘা। খেলে সে সামনের দুটো ঘােড়র দিকে একেবারে সিধা ছুটে এল, যেন তাদের মাথাই পাকড়াবে বুঝি। তার ভাগ্যিভাল তাগ ফসকে গিয়ে হুড়মুড় করে একটা পাথরের ঢিপির উপর পড়ে গেল। বাকি লােক পাথর কুড়িয়ে নিয়ে যতক্ষণ আমরা না পাল্লার বাইরে গেলাম ঢিল ফিকতে লাগলো। ছােকরারা তাদের মটরনালীক এবং যে সব মুড়ী গাড়ীর উপর এসে জমেছিল তাই দিয়ে খুব তেজের সঙ্গে লড়লাে । তারপর বব সােজা হয়ে বসলাে এবং অতি গম্ভীর ভাবে কোচবাক্সে ছােকর সাহেবের দিকে তাকালাে বব পাঁজরে এক ভয়ানক চোট খেয়েছে, এমন যে বাক্স থেকে উল্টে পড়বার কি হাতে থেকে রাশ ফস্কাবার কথা, হােকরা ভদ্রলােক ও বাক্সে গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাে এবং আমরাও তাই করলাম এবং লােকসান থতাতে লাগলাম। কোচবাক্সের। তঁনার মাথা কেটে গিয়েছে এবং হাট উড়ে গিয়েছে ' আর একজনেরও হাট ফয়ের। আমার হাট একদিকে ভােব খেয়ে গিয়েছে এবং আমাদের মধ্যে এমন একজনও নেই যার কোথাও না কোথাও কালশিরা না উঠেছে। অনেকেরই প্রায় সব গাময়ই তাই। বাণিশ চটার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দুই পাউণ্ড দশ শিলিং তারা তক্ষুণি চাদা করে