বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ E টম ব্রাউনের স্কুল জীবন। অতঃপর সমস্ত শৃঙ্খলা ও শাসন উপেক্ষা করিয়া তাহারা এ উহার বিছানা একহাত দিয়া টানাটানি করিতে করিতে অপর হাতে প্রতিপক্ষের দেহের যেখানেই নাগাল পাইল সেইখানেই বেদমভাবে চটিপেটা করিতে লাগিল। “ঐ কোণে কে তােমরা সব গােলমাল করছ, চুপ!” বলিয়া প্রিপােষ্টার উঠিয়া বসিয়া তাহার পরদার চারিধারে তাকাইলেন, আর বেঙ্গাচি আর ছােট গ্রীণ তাহাদের ওলটপালট বিছানার মধ্যে যেন একবারে মিশাইয়া গেল, এবং তারপর জেব-ঘড়ি দেখিয়া বলিলেন “ওঃ এ যে আটটা বেজে গেছে, গরম জল আনতে যাবার কার পালা”? | যেখানে প্রিপােষ্টার প্রাতঃকৃত্য বিষয়ে বিশেষ মনােযােগী হইতেন সেই খানে সেই ঘরের খাটানিয়াদের পালাক্রমে তাহার জন্য রান্না ঘর হইতে ভিক্ষা করিয়াই হইক চুরি করিয়াই হউক গরম জল আনিতে হইত। অনেক সময় এই রীতিটি একটু বিস্তৃতি লাভ করিত এবং তদনুসারে দুইজন বালককে নীচে নামিয়া গিয়া সমস্ত ঘরের উপযােগী গরম জল সরবরাহ করিতে হইত । সর্দার খাটানিয়া যাহাকে পালার হিসাব রাখিতে হইত, উত্তর করিল আজ ইষ্ট আর বেঙ্গাচির পালা। ইষ্ট বলিল “আমিত পারছি না, আমি একবারে বন্ধ খোড়া”। “আচ্ছা তােমাদের মধ্যে যে কেউ হােক যাও, গিয়ে চটপট নিয়ে এস”। এই বলিয়া মহাপুরুষ বিছানা হইতে নামিয়া চটি পায়ে দিয়া সমস্ত শশাবার ঘরগুলির লম্বালম্বি যে মস্ত দরদালান সেখানে থেকে তাহার লােটমেন্ট খুলিয়া রবিবাসরীয় পাের্ক বাহির করিতে গেলেন। টম ইষ্টকে বলিল “আমি তােমার হয়ে যাব? যাই না?” “আচ্ছাসবাদ, লক্ষ্মী ছেলে, তােমার ইজেরটা একটু গুটিয়ে নাও,