বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার সমর। ২১৭ বলিয়া সুবিধা পাইলেই গােপনে পীড়ন করিতে ছাড়িল না। ফ্ল্যাশম্যান এসব বিষয়ে ওস্তাদ, বিশেষ কঠিন মৰ্ম্মভেদী কথা বলিতে তাহার খুব দক্ষতা ছিল, এবং সে এইভাবে অনেক সময় ছেলেদের চোখদিয়া জল বাহির করিত, যাহা সহস্র মারপিটেও তাহাদের চোখ হইতে কখনই বাহির হইত না। অন্যদিকে তাহার বিক্রম সঙ্কুচিত হইয়া আসায় সে এখন হইতে বিশেষ করিয়া টম ও ইষ্টের পিছনে লাগিল। ইষ্ট ও টম তাহার নিজ দুয়ারের ধারেই থাকিত, সে ফাক পাইলেই জোর করিয়া উহাদের পড়ার ঘরে ঢুকিয়া পড়িত, এবং কখনও একা না হয় একজন সঙ্গী লইয়া সেখানে বসিয়া তাহাদের সকল কাৰ্য্যেই বাধা দিত, এবং প্রায়ই একজন নয় একজনকে মনঃপীড়া দিতে পারিয়াছে জানিয়া মহা হর্ষ অনুভব করিত। পূৰ্ব্ব কথিত ঝটিকাতে বাড়ীর অপর অংশের আবহাওয়া পরিষ্কার হইল, এবং অবস্থার এতটা উন্নতি দেয়া গেল যাহা বড়ক যাওয়ার পর ইতিমধ্যে আর লক্ষিত হয় নাই, কিন্তু একখণ্ড ক্রুদ্ধ কৃষ্ণবর্ণ বজ্রমেঘ দালানের শেষভাগে, যেখানে ফ্ল্যাশম্যানের ও টম এবং ইষ্টের পড়ার ঘর ছিল সেইখানে, তখনও বিলম্বিত হইয়া রহিল। সে মনে মনে বুঝিয়াছিল যে ইহারাই প্রথম বিদ্রোহী এবং বিদ্রোহ অনেকাংশে সফলও হইয়াছে। কিন্তু সকলের চেয়ে যাহাতে তাহার মন ঘৃণা ও অক্রোশে জ্বর হইয়া উঠিল তাহার কারণ এই যে ইতিমধ্যে অনেকবার যে সংঘর্ষ হইয়াছে তাহাতে তাহারা প্রকাশ্যভাবে তাহাকে ভীরু নীচ কাপুরুষ বলিয়া তিয়স্কার করিয়াছে, এবং এই শ্লেষ এতই সত্য যে ইহা কোনরকমেই ক্ষমা করা যাইতে পারে না। যখন সে তাহাদিগকে প্রহার করিত তখন সেই অবস্থাতেই তাহারা কখন সে ফুটবলে ভয় খইয়াছে, কখন আকারে তাহার অর্ধেক কোন ছােট লােকের সঙ্গে