বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ৭ স্বাধীনতার সমর। ২। অতি ক্ষীণ কণ্ঠে, অতি ধীরে কথাগুলি উচ্চারিত হইল, “আজ রাত্রে বড় ঠাণ্ডা”? বেচারী বুড়ো ডিগস তখন ত কচি থােকার মত ফোপাইতেছে। টম চক্ষু মেলিয়া বলিল “আমি এখন কোথায় রয়েছি? তারপর “ও আমার মনে হয়েছে” বলিয়া আবার চোখ বুজিয়া কোথাইয়া উঠিল। | ফি ফিস্ করিয়া কথা হইল “ওহে শুনছ, আমরা ত এখানে থেকে কিছু ভাল করতে পারব না, আর ভাণ্ডারিণী ওত এসে পড়ল বলে,” এই বলিয়া আস্তে আস্তে যে যার সরিয়া পড়িল, কেবল একজন থাকিল, সে নিঃশব্দে বিল্ল চিত্তে টমের মুখে পাখা করিতে লাগিল। | ভাণ্ডারিণী তীব্রগন্ধ লবণ লইয়া উপস্থিত হইল। এবং টম শীঘ্রই এতটা সুস্থ বােধ করিল যে সে উঠিয়া বসিল। পােড় গন্ধ নাকে লাগায় ভাণ্ডারিণী টমের কাপড় চোপড় পরীক্ষা করিয়া দেখিয়া জিজ্ঞাসু ভাবে সকলের মুখের দিকে তাকাইল। ছেলেরা নীরব। “এর এ রকম কি করে হল” ? কোন উত্তর নাই।। তখন সে মুখ অত্যন্ত গম্ভীর করিয়া বলিল “এর মধ্যে নিশ্চয় কোন নষ্টামি আছে। আমি আচাৰ্য্যকে একথা বলব।* তবুও কোন উত্তর নাই। তারপর ডিগস বলিল “এইবার একে বােগী-ঘরে নিয়ে গেলে ভাল হয় না”। “ও আমি এখন নিজে হাঁটতে পারব” এই বলিয়া টম, ইষ্ট এবং ভাণ্ডারিণীর গায়ে ভর দিয়া রােগী-ঘরে চলিয়া গেল। যে বালক স্থান ত্যাগ করিয়া যায় নাই সে অবিলম্বেই অন্য সকলের সহিত মিলিত হইলে উহারা প্রাণভয়ে নিতান্ত কাতরভাবে জিজ্ঞাসা করিল “ও কি আমাদের নামে লাগিয়াছে ? ভাণ্ডারিণী কি সব কথা জানতে পেরেছে ?