বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৈব দুর্বিপাকের এক পর্ব। ২৯ প্রতি সহৰ সহৃদয় সম্ভাষণ তাহারা শুনিতে পাইল, তাহাদের আতিথ্যের সহিত কত প্রভেদ, এবং তারপর তাহারা ভারাক্রান্ত চিত্তে এবং আর কথনও নিয়মভঙ্গ করিবে না বলিয়া মনে মনে ভীষণ সঙ্কল্প আঁটিতে আঁটিতে পড়ার ঘরে ফিলি। | মিনিট পাঁচেক বাদে, তাহাদের ফরমের নবাগত মাষ্টার, একজন আদর্শস্থানীয় যুবা শিক্ষক, আচার্যের অধ্যয়নকক্ষের দুয়ারে আসিয়া ঘা দিলেন। “ভিতরে এস” বলিতে যাই ঢুকিলেন, শুনিলেন আচার্য্য হােসকে বলিতেছেন, “দেখ, ‘সদরে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমি এ বিষয়ে যদি আদৌ কোন খবর করি তাহলে ছেলেটাকে আমায় প্রকাশ্যভাবে বিদায় দিতে হয়, আমি তা করতে চাই না, কেননা তার মধ্যে কিছু পদার্থ আছে বলে আমি মনে করি। বেশ উত্তম মধ্যম এক চোট প্রহার ছাড়াও অন্য কোন বিহিত দেখি না”। এই বলিয়া থামিয়া তিনি মাষ্টার মহাশয়ের করকম্পন করিলেন, হােস ও তদ্রুপ করিল এবং তারপর বিদায় লইতে প্রস্তুত হইল। ‘আজ্ঞে হাঁ, আমি বুঝেছি, শুভরাত্রি”। “শুভরাত্রি হােস আর মনে রেখাে, সমস্ত বাড়ীর ছেলের সামনে, বেশ গুছিয়ে এক হাত উত্তম মধ্যম, বুঝলে কিনা”! হােমসের পিঠ-পিঠ দুয়ার বন্ধ হইতেই আচাৰ্য তাহার সহকারীর বিল্পিত মুখভাব লক্ষ্য করিয়া তদুত্তরে সংক্ষেপে ব্যক্ত করিলেন, “বড় গহিত রকমের জুলুমবাজির এক ব্যাপার। হাের্টন ঐ বাড়ীর প্রধান, লােক খুব ভাল, কিন্তু কাহিল ও দুর্বল, আর এ রকম ক্ষেত্রে কঠিন শারীরিক শাস্তিই একমাত্র প্রতিবিধান, কাষেই আমি হােমসকে বিষয়টা হাতে নিতে বললাম। সে অতি সাবধানী বিশ্বাসয়ােগ ছোৱা, গায়েও প্রচুর শক্তি আছে। ষষ্ঠদের সকলের ঐরকম থাকলে ভাল হত। । . ।।