১১ | | | ব্রাউন বংশ। জিয়া ঘেরা। তোমার নজরের মধ্যেই যে পাহাড় আছে, যখন ইচ্ছা সে দিকে তাকাইতে পার, উহাই হইতেছে উপত্যকার বিশেষত্ব। ঐ। যে দূরে সে চিরদিনই দাঁড়াইয়া আছে, তােমার বন্ধু ও সহচর, তুমি তাহাকে কখনও হারা ও না, যেমন পাহাড়ে যায়গায় হারাইয়া ফেল। আর হােয়াইট হস হিল ( অর্থাৎ শেতা গিরি) বলিয়া পাহাড়ই বা কি পাহাড়! ওই দাঁড়াইয়া, সকলের উপরে, সমুদ্রতল থেকে নয়শত ফুট উচু, গড়িমাটির পাহাড়ের পক্ষে এমন তেজীয়ান মূর্তি আর কোথায় পাইবে? চল আমরা উহার উপরে চড়ি এবং সেখানে কি আছে দেখিয়া আসি। হাঁ, তুমি বিস্মিত হইতে পার বটে, এবং ভাবিতে পার যে এ কেমন কথা যে ইহার বিষয় তুমি পূর্বে কিছুই শােন নাই। তা তুমি বিস্মিত হও আর নাই হও সে তােমার অভিরুচি। কিন্তু এ কথা ঠিক, ইংলণ্ডে এমন শত শত জিনিষ ছড়ান রহিয়াছে য’র বিষয় তােমার চেয়ে ঢের ঢের বিজ্ঞ ব্যক্তিও কিছু। জানেন না, খোজ রাখাও আবশ্যক মনে করেন না। ই, ইহা একটি চমৎকার রােমীয় সেনানিবাস তাতে আর ভুল নাই, ফটক গড় স্তুপ সমেত ঐ জবরদস্ত বুড়া বদমায়েশের চলিয়া যাইবার বিশ বছর পরে যেমনটি ছিল ঠিক সেইভাবে যথাযথ বায় আছে। এইখানে এই সর্বোচ্চ অংশে যেখান থেকে এগারটা কৌন্টি নজরে পড়ে বলিয়া লােকে বলে, সমস্ত অধিত্যকাটি ( প্রায় চৌদ্দ পনের একর জমি হইবে। তাহারা তাহাদের প্রথামত গড়বলি করিয়া ঘিরিয়া লইয়াছিল। কারণ কেহ যে তাহাদের হেঁট চোখে দেখিবে তা তাহারা বরদাস্ত করতে পারিত না। এবং এইখানি তাহাদের ‘শিকরে বাজের বাসা বাধিয়াছিল। চারিদিকে জমির ঢাল দ্রুত নামিয়া গিয়াছে। জগৎ ফুড়ে এমন তৃণ ভূমি আর আছে কি ? প্রতিপদক্ষেপে পায়ের মাইট পর্যন্ত