বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ T =

1 টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। ইষ্ট বলিল “আমি যে পুনদীক্ষিত হই নি।” টম সবিস্ময়ে বলিল “পুনদীক্ষিত হও নি। আমি ত সে কথা কখন ভাবিনি। তা হলে বছর তিনেক আগে আমাদের যখন পুনর্দীক্ষা হয়, তােমার হল না কেন? আমি বরাবর ভাবতাম বাড়ীতেই তােমার পুনৰীক্ষা হয়েছে।” ইষ্ট দুঃখিতভাবে বলিল “না, কেন যে হয়নি তা বলছি। শেষ পুনর্দীক্ষা আর্থার আসবার অল্পদিন পরেই হয়, আর তখন তুমি তাকে নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলে যে তােমাদের দুজনের সঙ্গে আমার প্রায় দেখাই হত না। তারপর আচার্য্য এ সম্বন্ধে আমাদের ডেকে পাঠালেন, আমি তখন গ্রীনের দলের সঙ্গে বেশী মেলামেশা করছি, জান ত ওরা কি ধারার ছেলে। তারা সকলেই গেল, সম্ভবতঃ ভালই করেছিল, আর উপকারও পেয়েছিল, আমি তাদের বিচার করতে চাইনে। তবে তারা যে সব কারণ দর্শালে তাতেই আমার চিন্তু একেবারে চটে গেল। আচাৰ্য্য যখন চান, তথন করতে হয়’ ‘সেকমেন্ট না নিলে কোন ছেলের উন্নতি নেই,; ঐটেই দস্তুর ইত্যাদি, অর্থাৎ রবিবারে এক পােষাক হ্যাট পরার মত আর কি। আমার বরদাস্তু হল না। আমার মনে হল না যে আমার জীবনের ধারা পরিবর্তন করবার কোন আবশ্যকতা আছে, আমি ভাবলাম আমি যেমন আছি তাই ভাল, আচাৰ্যই হােন আর যিনিই হােন, কারও মন যােগাবার জন্য ধর্মের ভেক নেবার আমার প্রবৃত্তি হল না।” ইষ্ট চুপ করিল এবং আরও মনােযােগর সঙ্গে পেন্সিল দিয়া খোঁচাইতে লাগিল। টম কঁাদ-কাদ হইয়া উঠিয়াছিল। সে নিজে পুনরীক্ষিত হইয়াছে বলিয়া প্রথমে তাহার আপশােষই হইতে লাগিল। মনে হইল তাহার সব চেয়ে পূর্বতন বন্ধুকে সে পরিত্যাগ করিয়াছে,