পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: । 1 E। পর্বতাের। বুঝা গেল সে একজন উচুদরের পাকা খেলােয়াড়। জো কাছ ঘেঁষিয়া আসিল। ইচ্ছা সে তাহার দৈর্ঘ্যের সুযােগ লইয়া বুড়ার আটকের উপর দিয়া আধা লাঠি চালাইবে, কিন্তু ফলে পাঁজরে এবং কনুইয়ে এক এক বিষম ঘা খাইয়া ফিরিতে হইল। অতঃপর জোর দম কমিতে লাগিল। সে হাঁপাইতে লাগিল এবং লােকের দল হাসিতে লাগিল। “সবুর বরে, জো, এইবার শক্ত ঘানি !” এই সদুপদেশ অনুসারে পুনরায় দম না লইয়া জো রাগিয়া গেল এবং বুড়ার গাত্রে আঘাত করিল। “রক্ত রক্ত, জোর মাথা ফেটেছে!” বলিয়া লােকে চীৎকার করিয়া উঠিল। কি আশ্চৰ্য্য! কেমন করিয়া হইল? ঐ যে জো গায়ে বাড়ি মারিতে গিয়াছিল ঐ সময় এক মূহুর্তের জন্য তাহার মাথা আলগা হইয়াছিল, আর সেই সুযােগে বুড়া কজির একটি প্যাচে জোর কপালের ঠিক মধ্যভাগ হইতে পরিষ্কার এক টুকরা চামড়া উঠাইয়া লইয়াছে। জো প্রথমে মানিতেই চায় না; এবং দমাদম আরও গােটা দুই তিন বাড়ি কষাইয়া দিল। কিন্তু অবশেষে রক্ত যখন গড়াইয়া চোখে পড়িল তখন নাচার হইতে হইল । বেচারী জো বড়ই মুচ্ছিভঙ্গ হইয়া হাফ গিনির জন্য তাহার পকেট হাতড়াইতে লাগিল। কিন্তু বুড়া খেলােয়াড় উহা লইল না। টাকা রেখে দাও ভায়া, একবার এস হাত মেলাও” বলিয়া সে জোর কর মর্দন করিল। তারপর বুড়া নূতন হাটটি মেষ পালককে দিন এবং অল্পক্ষণ পরেই হাফ গিনিটি উইলিয়মকে দিল, আর সে উহা লইয়া ফিতা কিনিয়া মনের সাধে তাহার প্রণয়িণীকে সাজাইল। “কেও, কোথেকে এল?” জনতার মধ্যে তখন এই প্রশ্ন হইতে লাগিল এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই রব উঠিল যে সে পশ্চিম দেশের পুরান শিখেলােয়াড়, বিশ বছর আগে ভাইজে সহরে লাইফগার্ড অর্থাৎ |