– ৭ টম ব্রাউনের জীবন। টমের এই সহযােগীটি ছেলেদের মধ্যে এক অতি দুর্ধর্ষ বীর বলিয়া পরিচিত ছিল এবং ভূতবিদ্যা বা ইন্দ্রজাল বা ঐরূপ কিছু জানে বলিয়া সকলে তাহাকে ভয় করিত। তাহার এই খ্যাতির কারণ এইরূপ। ছেলেরা আটটার সময় শুইত সুতরাং ঘণ্টা খানেক দুই অন্ধকারে জাগিয়া থাকিতে হইত এবং সেই সময় পালা করিয়া ভূতের গল্প বলিত। একদিন ঐ ছেলেটির পালা আসিলে সে এমন সকল গল্প বলিতে লাগিল যে ভয়ে সকলের আত্মাপুৰুষ শুকাইয়া গেল এবং ইহাও প্রকাশ করিল যে সে সেই মুহুর্তেই একখানা অগ্নিময় হাত দুয়ারের কাছে উপস্থিত করিতে পারে। এবং ঘরের ছেলেরা বিশ্বয় ও আতঙ্কের সহিত দেখিল যে বাস্তবিকই ঐরূপ একটা কিছু স্তিমিত আলােকে শুণ্ডেই সেই স্থানে দৃষ্টিগোচর হইল। এই অলৌকিক কীৰ্ত্তি অন্য অন্য ঘরে প্রচার হওয়ায় এবং সেখানে সকলে হতশ্রদ্ধা প্রকাশ করায় তরুণ ঐন্দ্রকালিক অঙ্গীকার করিল যে সে এই বিস্ময়কর ঘটনা পৰ্য্যায়ক্রমে প্রত্যেক ঘরেই ঘটাইবে এবং সে করিল ও তাহাই। এবং এই সমস্ত বে। যথারীতি গুপভাবে আশায়ের কগােচর হওয়ায় কর্তৃপক্ষটি একদিন এ দুয়ারে ও দুয়ারে কাশ পাতিয়া শুনিয়া অতর্কিত ভাবে আসিয়া পড়িয়া খেলায়াড় ছােকরাকে রাত্রিবাসপরিহিত অবস্থায় এক বাক্স ফসফরাসরূপ বল সমেত গেৱেফতার করিল। দিয়াশলাই এবং বর্তমানের অগ্নিসন্দীপক কৌশল সমূহ তখনও অপরিজ্ঞাত ছিল। ফসফরাস নাম মাত্রেই বালক মাত্রেই মনে একটা শয়তানির আভাস আসিত, সুতরাং টমের মিত্র, বয়দিগেরও ৰাতি বস্তু খাই, অর্থাৎ সহচগণের সমূহ কীতি, সমুচিত বেথাতের বিনিময়ে অর্জন করিয়াছিল। এই বালকটির বিলক্ষণ বৈশিষ্ট ছিল, তবে সে খারাপ ছেলে ছিল। । | |