বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



পাইটকারা পরগণার অন্তর্গত দুইটী প্রাচীন জনপদ

বরকামতা

 পাটিকারা বা পাইট্‌কারা পরগণার অন্তঃপাতী বরকামতা নামক প্রাচীন গ্রামটী ত্রিপুরা জিলার সদর ষ্টেসন্‌ কুমিল্লা নগরীর পশ্চিমদিকে ১২ মাইল দূরে অবস্থিত। এই স্থান হইতে উদ্ধৃত এক শিলালিপি এবং উক্ত জিলার অন্তর্গত নুরনগর পরগণার পশ্চিম প্রান্তদেশস্থ বাঘাউরা গ্রামের পুষ্করিণীর মধ্যে যে একটী বিষ্ণুমূর্ত্তি প্রাপ্তির বিষয় পূর্ব্ব প্রবন্ধে উল্লেখ করা হইয়াছে, সেই মূর্ত্তির পদনিম্নে কুটিল বা সিদ্ধ-মাতৃকা অক্ষরে উৎকীর্ণ লিপি পর্য্যবেক্ষণ করিয়া ঢাকা কৌতুক-সংগ্রহালয়ের তাত্ত্ববধায়ক নলিনীকান্ত ভট্টশালী নিৰ্দ্ধারণ করেন যে, বঙ্গদেশের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তবর্ত্তী সমতট নামক প্রদেশটী একদা নৃপতি প্রথম মহীপালের শাসনাধীন ছিল; এবং উল্লিখিত “বরকামতা” নামে খ্যাত গ্রামটীই সমতট প্রদেশের তৎকাল-প্রসিদ্ধ রাজধানী “করুমন্ত”।

 নলিনীকান্ত ভট্টশালী কর্ত্তৃক নিৰ্দ্ধারিত প্রাগুক্ত বিষয় সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসকার ভিনসেণ্ট স্মিথ সমর্থন করিলেও কেহ কেহ যে ইহার প্রতিবাদ না করিয়াছেন এমন নহে। আবার কোন কোন ব্যক্তি কর্ত্তৃক এতদঞ্চল প্রাচীনকালের সুপ্রসিদ্ধ রাজ্য “কমলাঙ্গ” বলিয়াও অভিহিত হইয়াছে।

 উল্লিখিত ইতিহাসকার কর্ত্তৃক বিরচিত ভারতবর্ষের ইতিহাসে উল্লেখ আছে যে, বর্ণিত বরকামতা গ্রাম মধ্যে কতকগুলি প্রস্তর মূর্ত্তি ও পুরাকালের ইষ্টক নির্ম্মিত নিকেতনাদির ভগ্নাবশেষ অবস্থিত; কিন্তু অধুনা কতিপয় ইষ্টক স্তূপ ও বিকীর্ণ ইষ্টকরাশি ব্যতীত তৎসমুদয়ের কিছুই বর্ত্তমান নাই। সম্ভবতঃ মূর্ত্তিনিচয় নানা স্থানে অপসারিত হইয়াছে এবং ইষ্টক গ্রহণ উদ্দেশ্যে কিংবা গুপ্তধন প্রাপ্তির আশায় পল্লীনিবাসিগণ কর্ত্তৃক অত্রস্থ ভগ্ন নিকেতনাদি সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত হইয়া থাকিবে।

 সম্প্রতি তথায় থাকিবার মধ্যে—পল্লীমধ্যস্থ ন্যূনাতিরেক ত্রিংশ-হস্ত-ব্যাপী

ত্রিপুরার স্মৃতি