পাতা:ত্রিপুরার স্মৃতি.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শূন্ত দেওয়ার প্রথা পূৰ্ব্বে যেরূপ এতৎ প্রদেশস্থ সাধারণ লোক-মধ্যে সচরাচর প্রচলিত থাকিতে দৃষ্ট হয় না, সেই পদ্ধতি অনুসারে উক্ত শিলালিপিতে ১৬৭৩ শকাব্দীর পরিবর্তে ১৬ ৩ মাত্র উৎকীর্ণ হইয়া থাকিবে । শিলালিপিটার এতৎ পূৰ্ব্বের একটা প্রতিলিপি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। তাহাতে যে কতিপয় অক্ষর আছে, উহা বন্ধনীর মধ্যে প্রদত্ত হইল । খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে ত্রিপুরেশ রাম মাণিক্য কালকবলে পতিত হইলে, তদানীন্তন ত্রিপুররাজ্যের প্রধান সেনাপতি পরাক্রমশালী “বলিভীম নারায়ণ” নিজ শক্তি বলে পঞ্চবর্ষ বয়স্ক তদীয় ভাগিনেয় ‘রত্ব মাণিক্য’কে সিংহাসনে স্থাপিত করিয়া স্বয়ং যুবরাজ উপাধি ধারণ পূৰ্ব্বক ত্রিপুররাজ্য শাসন করেন । সেই সময় তৎকর্তৃক বর্ণিত মন্দিরের জীর্ণসংস্কার কার্য্য সম্পাদিত হইয়া উল্লিখিত শিলালিপি তদগাত্রে সংযোজিত হইয়। থাকিবে । মন্দিরের দক্ষিণ-গাত্রে যে দুইটী শিলালিপি সংলগ্ন আছে, তাহাদের কতিপয় অক্ষর বিলুপ্ত হইয়াছে। প্রথম শিলালিপিটী এই— “শ্ৰীধন্য মাণিক্য স্থিতে কৃতি । শকাব্যাঃ ১৪২৩ ॥ তত আভ্যন্তরে ঐীরণগণ রামমাণিক্য ধৰ্ম্মরাজ পতি । শকাবদ ১৬০৩ !” মন্দিরটা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ত্রিপুরাধিপতি রাম মাণিক্যের রাজত্বের পূৰ্ব্বে, প্রথম উদয় মাণিক্যের ভগিনীপতি শ্রীরণাগণ নামক সেনাপতি কর্তৃক যে উহার জীর্ণসংস্কার কার্য্য সাধিত হইয়াছিল, এই বিষয় উল্লিখিত শিলালিপি দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় । ত্রিপুরাধিপতি দুর্গ মাণিক্যের মহিষী “ক্ত দীশ্বরী’ উপাধিধারিণী স্বমিত্র। দেবী ১২৬৭ ত্রিপুরান্ধে উল্লিখিত মন্দির সংস্কার করাইয়। তাহার দক্ষিণ-গাত্রে দ্বিতীয় শিলালিপি সংলগ্ন করেন । উক্ত শিলালিপির প্রতিলিপি - “শাকে র সমুদ্রারি ধরণিযুতে লোক মাত্রেইথিকায়ৈ প্রাসাদরাঞ্জং বিটপি à te - ত্রিপুরার স্থতি