পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় রজনী গুরুদেব পরদিন ঘনশ্যাম পুনরায় গল্প আরম্ভ করিলেন। গড়গড়ি মহাশয় বলিতেছেন, — যদিও আমি নিজে এ পৰ্যন্ত দীক্ষা গ্ৰহণ করি নাই, তথাপি শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীল গোলোক চক্ৰবৰ্ত্ত মহাশয় আমাদের বংশের গুরুদেব। ঠাকুর মহাশয়ের বাটী আমাদেরই গ্রামে। কিন্তু তিনি বার মাস কলিকাতাতেই থাকিতেন, কেবল প্রতি বৎসর পূজার সময় একমাসের জন্য দেশে গমন করিতেন। আমি মনে করিলাম যে, কনিষ্ঠকে বুঝাইবার নিমিত্ত ঠাকুর মহাশয়কে অনুরোধ করি। ঠাকুর মহাশয় পূৰ্ব্বে একটি হােটেল করিয়াছিলেন। হােটেলের কাজে তাঁহার লাভ হয় নাই। এক্ষণে তিনি পাঠার দোকান করিয়াছেন। সন্ধান করিয়া আমি সেই পাঠার দোকানে গিয়া উপস্থিত হইলাম। রাস্তার ধারেই দোকান। সেই দোকানে দুইটি ছাড়ানো ছাগল বুলিতেছিল। ঠাকুর মহাশয় তখন ব্যস্ত ছিলেন। একজন খরিদদারকে তখন তিনি আধাসের মাংস বিক্রয় করিতেছিলেন। ঠাকুর মহাশয় বলিতেছিলেন যে, সে মাংস টাটুকা। খরিদদার বলিতেছিল যে, সে মাংস বাসি। খরিদদার বলিল যে, সে খাসি; ঠাকুর মহাশয় বলিলেন যে, সে পাঠা। খরিদদার বলিল যে, পিঠের দাঁড়ার মাংস ভাল, সেই মাংস আমি লাইব; ঠাকুর মহাশয় বলিলেন যে, পাজরার মাংস ভাল, তাহাই লইয়া যাও। Š মাংস লইয়া খরিদদার প্রস্থান করিলে, ঠাকুন্তমহাশয়কে আমি ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিলাম। ঠাকুর মহাশয়ের দক্ষিণ পদ কিছু স্কুহুৰ্গছিল, অর্থাৎ সে পায়ে গােদ ছিল। সেই স্থল পাদপদ্মটি তিনি আমার মস্তকে তুলিয়া স্ক্রিন। গােদের গ্যাজ হইতে রস প্রবাহিত হইয়া আমার মস্তক সিক্ত হইল, দুই চারি ফেঁটা আমার চক্ষুর উপর দিয়া বহিয়া গেল। নানারূপ আশিসৃবাচনে সম্ভাষণ করিয়া ঠাকুর অঁহীশয় আমাকে বাড়ীর ভিতর লইয়া যাইলেন। একখানি খোলার বাটীতে ঠাকুর মহাশয়ের দোকান ছিল। পথের ধারেই দোকান। তাহার পশ্চাতেই ভিতর দিকে খোয়াড়। সেই খোয়াড়ের ভিতর অনেকগুলি ছাগল ছিল। খোয়াড়টি দিন দুইপ্রহরেও অন্ধকারে পরিপূর্ণ থাকে। সে নিমিত্ত কিরূপ ছাগল ও কতগুলি ছাগল তাহার ভিতর ছিল, প্রথম তাহা আমি দেখিতে পাই নাই। খোয়াড়ের পশ্চাতে বাটীর সর্বশেষে, আর একখানি ঘর। সেই ঘরে ঠাকুর মহাশয় রন্ধন ও শয়ন করেন। এই ঘরখানির সম্মুখে একটি বারেণ্ডা ও তাহার পর একটু উঠান ছিল। সেজন্য খোয়াড়ের ন্যায়। এ স্থানে অন্ধকার ছিল না। ঠাকুর মহাশয় সেই বারেণ্ডায় আমাকে বসাইলেন। কলিকাতায় ও দেশের নানারূপ কথার পর, আমার ভ্রাতার কথা শুরুদেবকে আমি বলিলাম। কিন্তু শুরুদেব আমার সে কথায় বড় কান দিলেন না। এই সম্বন্ধে তিনি যাহা কিছু বলিলেন, আমার ভ্রাতার পক্ষেই তাহা তিনি বলিলেন। “সে বিশেষ কোন মন্দ কাজ করে নাই, বয়সকালে এইরূপ সকলেই করিয়া থাকে, বড় হইলে তাহার চরিত্র সংশোধিত হইয়া যাইবে,” এইরূপ ভ্রাতার পক্ষ হইয়াই তিনি আমাকে বুঝাইলেন। লোকপরম্পরায় আমি ইতিপূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলাম যে, ঠাকুর মহাশয়ের সহিত আমার ভ্রাতার বিশেষ ঘনিষ্ঠতা জনিয়াছিল। ঠাকুর মহাশয়ের বয়ঃক্রম পঞ্চাশের অধিক; আমার ভ্রাতার ইয়ার তিনি নহেন। কিন্তু অনেকগুলি খোলার-বাটী-নিবাসিনীদিগের সহিত ঠাকুর মহাশয়ের আলাপ-পরিচয় ছিল; কারণ, তাহাদের বাটী ফলাহার করিয়া তিনি VOSS ମୁଁ ଓମ-୩ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro