পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মদন ঘোষের বদনে হাসি৷ প্ৰথম অধ্যায় ভট্টাচাৰ্য মহাশয় আমি মদন ঘোষ। আমার বদনে আপনারা হাসি দেখিতেছেন। নূতন আমার বিবাহ হইয়াছে। সেইজন্য আমার মুখে এত হাসি। কিন্তু তা’ বলিয়া আমি বে-পাগলা নই। তবে মনের মত পত্নীলাভ হইলে চিত্ত একটু প্ৰফুল্ল হয়। আমারও তাই হইয়াছে। তাই হাসি-মুখে সকলকে আমি সম্ভাষণ করিয়া বলিতেছি— “গুড় মৰ্ণিং!” সরস্বতী দেবীকে পূজা করিয়া লোকে বিদ্যালাভ করে। সে বস্তু আমি কতটুকু লাভ করিয়াছি, তাহা এই গল্পটি পাঠ করিলেই সকলে বুঝিতে পরিবেন। তাহা ব্যতীত আমি আর একটি বহুমূল্য রত্ন লাভ করিয়াছি। দেবীর কৃপায় রাধারাণীকে পাইয়াছি। রাধারাণী আমার গৃহের একাধারে লক্ষ্মী-সরস্বতী। O কলিকাতায় যখন আমি স্কুলে পড়তাম, তখুনু যাইতাম। বাড়ী আমাদের বদ্ধমান জেলাভে সামান্য একখানি ক্ষুদ্র গ্রামে। বাড়ী গিয়া ভক্তিভাবে দেবীকে অঞ্জলি প্ৰদান কুরিত্যুম্বকালবেলা মাঠে গিয়া দাঁড়াগুলি খেলতাম। যে বৎসর আমার প্রথম চাকরী হ্রস্ট, সে বৎসর শ্ৰীপঞ্চমীর সময় আমি দেশে যাইতে পারিলাম না । কলিকাতাতেই সে বৎসর মায়ের শ্ৰীপাদ-পদ্মে অঞ্জলি প্ৰদান করিলাম। সেই সূত্রে আমি রাধারণীকে লাভ করিলাম। সে বৎসর প্রাতঃকালে উঠিয়া, আমি আমার দোয়াতটিকে ভাল করিয়া ধুইলাম। পুরাতন নিবগুলি ফেলিয়া, কলমে নূতন নিব পরাইলাম। চারি পয়সা দিয়া একটি সরস্বতী ঠাকুর কিনিয়া আনিলাম। ছোট একখানি চৌকির মাঝখানে ঠাকুরটিকে বসাইয়া, তাহার সম্মুখে ও দুই পার্শ্বে দোয়াত-কলম ও পুস্তক সাজাইলাম। শুভ্ৰবর্ণের ফুল ও পূজার অন্যান্য উপকরণও আহরণ করিলাম। এসব আয়োজন করিলাম বটে, কিন্তু পুরোহিতের কি হইবে? কলিকাতায় আমি কখন ক্রিয়াকৰ্ম্ম করি নাই। সে নিমিত্ত পুরোহিতের প্রয়োজন হয় নাই। কিন্তু আজ—উপায়? ভাবিতে ভাবিতে আমার বাসার দ্বারে গলিতে গিয়া দাড়াইলাম। আমাদের বাসায় আর যত লোক আছেন, পূজা-পাঠের তাঁহারা ধার ধারেন না। নদী-ভৃঙ্গীর সন্ধান বরং তাঁহারা জানেন; কিন্তু পুরোহিতের সন্ধান তাহারা কিছুই জানেন না। তাই মনে করিলাম যে, পথে যদি সাত্ত্বিক গোচের মানুষ দেখিতে পাই, তাহা হইলে তাঁহাকে পুরোহিতের কথা জিজ্ঞাসা করিব। মুক্তা-মালা 8v30? বৎসর শ্ৰী পঞ্চমীর সময় আমি বাড়ী sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro