পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফিরাইতে প্রতিদিন আমি আধা ঘণ্টাকাল অতিবাহিত করি। আৱাসীতে যখন আমি আমার মুখ দেখি, তখন ভট্টাচাৰ্য মহাশয় যাহা বলিলেন, আমিও তাঁহাই মনে ভাবি। নিজের সুখ্যাতি নিজে করিতে নাই। কিন্তু আপনারা বরং আমার বন্ধু-বান্ধবকে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখিবেন, সকলেই বলিবে যে, মদন একজন সুন্দর পুরুষ বটে। ফলকথা, আমার নাম মদন, আমি কাজেও মদন। কিছুদিন পরে ভট্টাচাৰ্য মহাশয় পুনরায় আমার বাসায় আগমন করিলেন। সেদিন আসিয়া বলিলেন,- “দেখ, আমি ব্ৰাহ্মণ-কায়স্থের ঘটকালী করি; তোমাদের জাতির ঘটকালী কখন করি নাই। কিন্তু যে স্থানে আমার বাসা, তাহার ভিতর-বাটী—এক প্রবীণ ভদ্রলোক ভাড়া লইয়াছেন। তিনি তোমাদের জাতি; উপাধি পােল। পাল মহাশয়কে সঙ্গতিপন্ন লোক বলিয়া বোধ হয়। তাঁহার নিবাস শুনিয়াছি, হুগলী জেলায় কোন স্থানে। তাঁহার এক বয়স্থা কন্যা আছে। কন্যাটির বয়ঃক্রম বারো কি তেরো হইবে। তোমাদের জাতিতে এতবড় কন্যা থাকে না। কিন্তু তাহার কারণ আমি কতকটা পাইয়াছি। আমি যে বাড়ীতে থাকি, সেই বাড়ীর নীচের তলায় একটি ঘরে তোমাদের জাতীয় আর এক ব্যক্তি বাস করেন। তাহারও নিবাস হুগলী জেলায়। সকলে তাঁহাকে নিয়োগী মহাশয় বলিয়া ডাকে। তাঁহার পুত্ৰ পীড়িত হইয়াছে। চিকিৎসার নিমিত্ত তাঁহাকে তিনি কলিকাতায় আনিয়াছেন। আমি শুনিয়াছি যে, এই পুত্রের সহিত পাল মহাশয়ের কন্যার বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির হইয়াছিল। তাহার পীড়াবশতঃ এখনও বিবাহ হয় নাই। আমার বোধ হয় এ বিবাহ কখন হইবেও না; কারণ, নিয়োগী মহাশয়ের পুত্ৰ কাসরোগ দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছে। কিন্তু এখনও তাহার আরোগ্যলাভের আশা করিতেছে। সেজন্য পাল মহাশয়ের নিকট এখন কথা উত্থাপন করিতে পারি না । কিন্তু তুমি এক কাজ কর। তুমি গিয়া পাল য়র সহিত আলাপ-পরিচয় কর । তাহা করিতে পারিলে, যথা সময়ে এ কাজের সুবিধা হইবে।” দ্বিতীয় অধ্যায় গোফ-ছাঁটা বিভীষণ বিবাহের কথা শুনিয়া প্ৰাণ আমার উল্লাসে পরিপূর্ণ হইল। কারণ, আমার নাম মদন। প্রাণের কথা আমি খুলিয়া বলিতেছি, সেজন্য আমাকে আপনারা পাগল মনে করিবেন না। বিবাহের সময় আপনাদের বোধ হয়, এইরূপ আনন্দ হইয়া থাকিবে। তবে আপনারা প্ৰকাশ করেন না, এই যা । আমি ভট্টাচাৰ্য মহাশয়কে বলিলাম,- “পাল মহাশয় প্রবীণ, সঙ্গতিপন্ন, আমার সম্পূর্ণ অপরিচিত। তাহার সহিত আমি কিরূপে আলাপ-পরিচয় করিব?” ভট্টাচাৰ্য মহাশয় উত্তর করিলেন,- “তুমি এক কাজ কর। আমাদের বাড়ীতে তুমি একটি ঘর ভাড়া করিয়া সেই স্থানে বাস করা। দোতলার অন্দর মহলের দিকে, ঠিক পাল মহাশয়ের ঘরের পার্শ্বে, একটি ঘর খালি আছে। তুমি সেই ঘরটি ভাড়া লও। এক বাড়ীতে বাস করিতে করিতে ক্রমে পাল মহাশয়ের সহিত আলাপ-পরিচয় হইবে।” মুক্তা-মালা sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro 8vo.