পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फूटीन अक्षांश প্ৰাণমুগরো গাছের শিকড় একদিকে পিতেম চাকর ও গোলাপী ঝি, অপরদিকে পুরুষোত্তম ব্ৰাহ্মণ ও বিদ্যাধরী ঝি, ইহাদের মধ্যে সৰ্ব্বদা ঝগড়া হইতে লাগিল। একদিন বিদ্যাধরীকে গোলাপী বলিল,— “তোমার কি বিবেচনা! আজ সকালবেলা বাবুর জন্য তুমি সন্দেশ কিনিয়া আনিলে। বাবুকে দিবার পূৰ্ব্বে, বামুনঠাকুরকে তুমি দুইবার চাটিতে দিলে, তাহার পর সন্দেশটি তুমি নিজে দশবার চাটিলে। কোন বলিলে যে, গোলাপী! তুই দুইবার চাট । কোন জিনিস পাইলে সকলকে ভাগ দিয়া খাইতে হয়। আমিও ঝি, তুমিও ঝি। আমাকে ভাগ দিয়া না খাইলে তোমার অধৰ্ম্ম হয়, তা জােন? মাথার উপর ভগবান আছেন, তিনি বিচার করিবেন। আর এই চাবড়ামুখো বামুনের কি আক্কেল? আহা, মুখখানি তো নয়—যেন ডায়মনকাটা আড়াই হাত শীতলা । পোড়ারমুখোরা আর ঠাকুর খুঁজিয়া পায় নাই, জগন্নাথকে ঠাকুর করা হইয়াছে; না আছে নাক, না আছে কান। যে হাতে বিদ্যাধরীকে সব জিনিস দিস্, জগন্নাথের মত তোর সেই হাত ঠুটাে হউক। মরণ আর কি?” বাড়িতে লাগিল। বিদ্যাধরী বলে,- “বামুনঠাকুর, বড় অরুচি। যদি ক্ষীরমোহন পাই, তাহা হইলে বোধ হয় কষ্টশ্রোষ্টে একটা খাইতে পারি।” কোন কোনদিন সে বলে,- সরভাজা বেঁচিতে আসিয়াছে। বড় অরুচি। একটু রভাজা পাই, তাহা হইলে চেষ্টা করিয়া দেখি, খাইতে পারি কি না। আবার কোনদিনলৈ,— “বামুনঠাকুর শুনিয়াছি বাগবাজারে একরকম সন্দেশ আছে, তাহার নাম খ্রীব, যদি আনিয়া দিতে পাের, তাহা হইলে বোধ হয় একটু রুচি হয়।” এইরূপ নিত্য নিৰ্ম ধরীর আবদার। পুরুষোত্তম কি করিবে? যখন এত টাকা খরচ করিয়াছে, তখন বিদ্যাধরীর সঙ্গে সহসা চটচটি করিতে পারে না। কাজেই সেই সমুদয় দ্রব্য তাঁহাকে আনিয়া দিতে হয়। কিন্তু বিদ্যাধরীর মরণ হওয়া দূরে থাকুক, দিন দিন সে তেলের কুপোর মত মোটা হইতে লাগিল। পুরুষোত্তম তাহার শরীরের দিকে চাহিয়া দেখে আর দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করে। একদিন পুরুষোত্তম মুদীর দোকানে বসিয়া আছে। মুদী জিজ্ঞাসা করিল,— “ব্ৰাহ্মণঠাকুর! তোমাদের বিদ্যাধরী বিয়ের অরুচি সারিয়াছে?” পুরুষোত্তম উত্তর করিল,- “বিদ্যাধরীর অরুচি! আগে যদি সে একপাথর ভাত খাইত, এখন সে দুই পাথর ভাত খায়।” “বটে!” এই কথা বলিয়া মুদী একটি নিশ্বাস ফেলিল। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া মুদী বলিল,— “বিদ্যাধরীর ব্যায়রাম বাড়িতেছে? কবিরাজ মহাশয় তাহার নাড়ী ধরিয়া বলিয়াছেন যে, সে আর অধিক দিন বঁাচিবে না । সেইজন্য আমার নিকট হইতে প্ৰতিদিন সে একছটাক ঘি লইয়া যায়, আর পানা করিয়া খাইবার জন্য রোজ সে আধ পোয়া বাতাসা লইয়া যায়।” পুরুষোত্তম জিজ্ঞাসা করিল,- “দাম দিয়া?” মুদী উত্তর করিল— “না; আমার ছেলেকে সে বড় ভালবাসে। বিদ্যাধরীর যাহা কিছু আছে, সে আমার ছেলেকে দিয়া যাবে। আমার ছেলের নামে সে উইল করিয়াছে।” পুরুষোত্তমের মাথায় বজাঘাত হইল। মুদী তাহার সছিদ্র বাক্স হইতে উইল বাহির করিয়া তাহাকে দেখাইল । পুরুষোত্তম ও আপনার উইল আনিয়া মুদীকে দেখাইল। তখন ইহারা মজার গল্প sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro 6a