পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। ऎछब्ल না। তাহার জ্যেষ্ঠ রাইচরণ রায়-মহাশয়কে গিয়া তিনি সকল কথা বলিলেন। বিজয় যেদিন আসিতে দিতেন না। বাহিরে দাঁড়াইয়া বিজয় ভ্রাতাকে সকল কথা বলিলেন। রাইচরণ রায়মহাশয় আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন। কোথাকার কে একজন নিম্পর, যাহার সহিত অল্প দিন পূৰ্ব্বে কিছুমাত্র আলাপ-পরিচয় ছিল না, তিনি বিজয়কে এত টাকার সম্পত্তি দিয়া যাইতেছেন, ইহা অপেক্ষা আর আশ্চর্য্যের বিষয় কি আছে? মুখে তিনি আহাদ প্ৰকাশ করিলেন, কিন্তু মনে মনে তাঁহার হিংসা হইল। বিজয়কে বাহিরে রাখিয়া তিনি বাটীর ভিতর গমন করিলেন। কিছুক্ষণ গৃহিণীর সহিত পরামর্শ করিয়া পুনরায় বাহিরে আসিয়া তিনি কনিষ্ঠকে বলিলেন,- “বিজয়! তুমি আমার এই পত্ৰখানি লইয়া সবরেজিষ্টারের নিকট গমন কর, তিনি আমার বন্ধু, আমার পত্ৰ পাইলে তিনি বেণীবাবুর বাটীতে আসিবেন। আমার বন্ধু জগৎবাবু ও আর একজনকে লইয়া সে স্থানে আমি যাইতেছি। তাহারা উইলের সাক্ষী হইবেন।” বিজয়ের জ্যেষ্ঠভ্রাতা রাইচরণ রায়মহাশয় দুই জন বন্ধুকে লইয়া বেণীবাবুর বাসায় উপস্থিত হইলেন। সাবরেজিষ্টারকে লইয়া বিজয়ও সেই স্থানে ভূঁসিয়া উপস্থিত হইলেন। যখন উইল লেখা ও রেজেক্টরী হইল, তখন রাইচরণবাবু বিৰ্ভয়কৈ ঔষধ আনিতে পাঠাইলেন। তিনি বলিলেন,- “আমরা সব ঠিক করিতেছি। তোমার্কে কোন কাগজে সাক্ষর করিতে হইবে না। বেণীবাবুর নিমিত্ত তুমি শীর্ঘ এই ঔষধ আনয়ন্ত্রকর ঔষধ লইয়া বিজয় যখন প্রত্যাগমনুষ্ঠুকরিলেন, তখন তিনি দেখিলেন যে, উইল হইয়া গিয়াছে। সকলে চলিয়া গিয়াছেন, কেঁকিল রাইচরণবাবু রোগীর নিকট বসিয়া আছেন। রাইচরণ রায়মহাশয় বলিলেন,- “এই দেখ, উইল রেজেষ্টারী করা হইয়াছে। এ কাগজ এখন আমার নিকট থাকুক। আমি এক্ষণে বাটী গমন করি।” রায়মহাশয় চলিয়া গেলেন। বিজয় রোগীর নিকট বসিয়া রহিলেন । সমস্ত দিন কাটিয়া গেল। অপরাহে পুনরায় জুর ফুটিল। রোগী পুনরায় অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন। চক্ষু মুদিত করিয়া রোগী এ-পাশ ও-পাশ করিতে লাগিলেন। বিজয় মাঝে মাঝে তাঁহার মুখে একটু একটু জল দিয়া তাহার শুষ্ককণ্ঠ সিক্ত করিতে লাগিলেন । রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় একটু চেতন হইল। চক্ষু চাহিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, — “তুমি 6क?' বিজয় উত্তর করিলেন,- “আমাকে চিনিতে পারেন না? আমি বিজয় ।” কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, — “যে কাগজ তাহার নাম কি, তাহা লেখা হইয়াছে?” বিজয় বলিলেন,- “উইল? হাঁ, তাহা লেখা হইয়াছে।” বেণীবাবু পুনরায় বলিলেন,- “আর একটা কথা তোমায় বলিব। কিন্তু কি কথা, তাহা ঠিক মনে হইতেছে না। এই মনে আসিতেছে, আর তৎক্ষণাৎ উড়িয়া যাইতেছে। রও—ঠিক কাপড় কাচা সাবাঙের মত ।” পািপনী পরিণাম দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com ~ లిసి