এই লেখায় এই অংশে একটি চিত্র থাকা উচিৎ। যদি আপনি তা দিতে পারেন, তবে, দয়া করে উইকিসংকলন:ছবি ব্যবহারের নির্দেশাবলী এবং সাহায্য:চিত্র যোগ দেখুন। |
কঙ্কাবতী উত্তর করিলেন,— “তোমার সহিত যাইব, তাতে আবার আমার ভয় কি?”
কঙ্কাবতী একথা বলিলেন বটে, কিন্তু একেবারেই যে তাঁহার ভয় নাই, তাহা নহে। বাঘের পিঠে তিনি আর কখনও চড়েন নাই, এই প্রথম। সুতরাং ভয় হইবার কথা।
ব্যাঘ্র বলিলেন,— “কঙ্কাবতী! কেন আমি বাঘ হইয়াছি, সে কথা তোমাকে পরে বলিব। এ দশা হইতে শীঘ্রই আমি মুক্ত হইব, সেজন্য তোমার কোনও চিন্তা নাই। এখন কোনও কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করিও না।”
এইরূপ কথা কহিতে কহিতে দুইজনে যাইতে লাগিলেন। অবশেষে বৃহৎ এক অত্যুচ্চ পর্ব্বতের নিকট গিয়া দুইজনে উপস্থিত হইলেন।
ব্যাঘ্র বলিলেন,— “কঙ্কাবতী! কিছুক্ষণের নিমিত্ত তুমি চক্ষু বুজিয়া থাক। যতক্ষণ না আমি বলি, ততক্ষণ চক্ষু চাহিও না।”
কঙ্কাবতী চক্ষু বুজিলেন। ব্যাঘ দ্রুতবেগে যাইতে লাগিলেন। অল্পক্ষণ পরে, খল-খল করিয়া বিকট হাসির শব্দ কঙ্কাবতীর কর্ণ-কুহরে প্রবেশ করিল।
কঙ্কাবতী জিজ্ঞাসা করিলেন,— “কি বিকট, কি ভয়ানক হাসি! ওরূপ করিয়া কে হাসিল?”
বাঘ উত্তর করিলেন,— “সে কথা সব তোমাকে পরে বলিব। এখন শুনিয়া কাজ নাই। এখন তুমি চক্ষু উন্মীলন কর, —আর কোনও ভয় নাই।”
কঙ্কাবতী চক্ষু চাহিয়া দেখিলেন যে, এক মনোহর অট্টালিকায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন।