পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিশঙ্কুবাবু মূল্য বৃদ্ধি করিতে লাগিলেন। হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার, চারি হাজার পৰ্যন্ত উঠিলেন । তথাপি আমি সম্মত হইলাম না। চারি হাজার পর্য্যন্ত উঠিয়া তিনি বলিলেন, — “আর আমি পারি না। আর আমার ক্ষমতা নাই।” অবশেষে সাড়ে চারি হাজার টাকায় আমি তাঁহাকে মহলটি বিক্রয় করিলাম। ধাঙ্গড়দিগকে লইয়া আমি গৃহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলাম। পরে শুনিলাম যে, ত্রিশঙ্কুবাবু প্ৰায় বিশহত গভীর করিয়া সেই চাতাল ও নিকটবৰ্ত্তী স্থান খুঁড়িয়া ফেলিয়াছিলেন। তাঁহার পরিশ্রম বৃথা হইয়াছিল। মাটির ভিতর হইতে একটি পয়সাও বাহির হয় নাই। লম্বোদর জিজ্ঞাসা করিলেন,- “কেন? কি পাইবেন তিনি আশা করিয়াছিলেন?” ডমরুধর উত্তর করিলেন,- “পুরাতন বাঙ্গালা ভাষায় সেই তাম্রফলকে লেখা ছিল— বিসমিল্লা। আমি মহম্মদ তাহির প্রথমতঃ ব্ৰাহ্মণ । এক্ষণে পীর খাঞ্জে আলি সাহেব হইয়া মুসলমান হইয়াছি। আমার পুত্ৰগণ ব্ৰাহ্মণ তাহাদের বংশধরগণের ভরণপোষণের নিমিত্ত এই চাতালের দশহাত নিয়ে আমি ভুকুলীক্ষ রৌপ্য-মুদ্র পুঁতিয়া রাখলাম। এই অর্থ জিন্দাগাজী সাহেবের আশ্রয়ে রাখিলাম। র ব্ৰাহ্মণ বংশধরগণ নিতান্ত দরিদ্র হইবে, তখন তিনি এই অর্থ তাহাদিগকে রবেন। ইতি ১৫ই জিলহি।জা ৮৬২ হিজরি ।” ঐ তাম্রাপত্র আমি লেখাইয়া । ত্রিশঙ্কুবাবুকে দেখাইবার নিমিত্ত আমি ধাঙ্গড় বুড়ীকে দিয়াছিলাম। মায়ের কৃপায় বুদ্ধি খেলাইয়া হীরার দশগুণ মূল্য আমি লাভ করিলাম। লম্বোদর বলিলেন,- “ভদ্র মাসে ভূত ভূত বলিয়া গ্রামে একটা গোল উঠিয়াছিল বটে, কিন্তু তুমি যে তার গোঁসাই, তাহা জানিতাম না।” সকলে বলিল,— “ধন্য ডমরুধর, ধন্য তুমি।” ডমরুধর বলিলেন, — “তাই তোমাদের সকলকেই আমি বলি, মা দুৰ্গাকে তোমরা ভক্তি কর । মা দুর্গাঁ তোমাদিগকে ধন দিবেন, মান দিবেন, সব দিবেন। আর হাওয়াখোর বাবুদের আমি বলি যে, মায়ের পূজা ছাড়িয়া বিদেশে তোমরা হাওয়া খাইতে যাইও না। ঘরে থাকিয়া ভক্তিভাবে মায়ের পূজা কর। যত হাওয়া চাও, মা তোমাদিগকে দিবেন। ঘরে বসিয়া স্বচ্ছন্দে পেট ভরিয়া হাওয়া খাইতে পরিবে।” sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro