দম্পতি --নিৰ্ম্মলবাবুর অবস্থা ভালো নয়, বোধহয় ? --সেইরকমই বটে। কিন্তু সে কি করেচে, বলুন তো ? আমি কিছু বুঝতে পারাচি নে। -সে-কথা আপনাকে ব’লে শুধু মনে কষ্ট দেওয়া ! টুডিওর একটা চেক ভাঙাতে দিয়েছিলাম।--দুশো টাকার চেক-তারপর থেকে আর তার দেখা নেই! আপনি যেদিন এখানে এসেছিলেন, তার পরের দিন। শুনচি, কোন্নগরে আছে-চিঠি লিখেও শচীনবাবু উত্তর পায় না। অথচ আমার এদিকে টাকার দরকার ! গদাধর বুঝিলেন, শচীন যাহা গুরুতর ব্যাপার বলিতেছে-তােহা এমন গুরুতর নয় ! নিৰ্ম্মল মাঝে-মাঝে এমন করিয়া থাকে । তাহার চেক ভাঙাইতে গিয়াও সে এমন করিয়াছে। তবে তিনি বাল্যবন্ধুর্তাহার বেলা যাহা করা চলে, সব ক্ষেত্রে কি তাহ করা উচিত ? নিৰ্ম্মলটার বুদ্ধিাশুদ্ধি যে কৰে হইবে! তিনি বলিলেন-তাইতো, ভারি অন্যায় দেখচি তার। আমার সঙ্গে একবার দেখা হ’লে আমি আচ্ছা ক’রে ধমকে দেবো । -হ্যা, দেবেন। তো-দেওয়াই উচিত । মৃদু উদাসীন কণ্ঠস্বর শোভার। রাগ বা ঝাজ তো নাই-ই-এমন কি, এতটুকু উদ্বেগের রেশ পৰ্যন্ত নাই ! গদাধর মুগ্ধ হইলেন। এক্ষেত্রে তাহাকে সামনে পাইয়া চেঁচামেচি করা এবং টাকার একটা কিনারা হওয়া সম্বন্ধে উদ্বেগ প্ৰদৰ্শন, পরামর্শ আহবান করা ইত্যাদিই স্বাভাবিক। পাড়াগায়ের মেয়েদের মধ্যে ইহা অপেক্ষা অনেক তুচ্ছ ব্যাপার লইয়া ভীষণ চীৎকার ও ክr ዓ