পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনা থেকে ভঁাজ হয়ে মানুষের রূপ নিয়ে রম্ভাকে আঁতকে দিতে, | D: “কে। ওখানে ?” কালীতার কাছে এগিয়ে আসেী। ९ख्ाधि द्रख् ।” “রম্ভ কে ? নতুন বি ? এখানে কি করছিস ?” ‘दि नशे । शूभूब्रिघा cथएक qबछि अंशांक दांबूद्ध जांथ।' “তা বেশ করেছে । এখানে কি করছি শুনি এত রাতে ?” কি বাকী কালীতারার কথার ৷ যেন কামড়ে দিতে চায়। “কি আর করব ? দাড়িয়ে আছি।” ঝাঁঝালো গলায় ফোস করা জবাব দিয়ে ক্রুদ্ধ ও বিমর্ষ রম্ভ গট গট করে লোহার সিড়ির দিকে এগিয়ে গেল। দু’দিন আগে এই কালীতারাই তার সঙ্গে কয়েক মিনিট কথা বলেছিল। কি মিষ্টিই লেগেছিল। কথাগুলি রম্ভার কাছে ! কি ভালোই লেগেছিল সেদিন মানুষটাকে । সিড়ির শেষে শুধু একজনের সঙ্গে রাস্তার দেখা হল,-ঝাড়ুদার সুখলাল। সুখলাল মাত্র কয়েক ধাপ ওপর উঠেছিল, রম্ভাকে নামতে দেখে নেমে গিয়ে পথ ছেড়ে দাড়াল। ঝাড়ুদার সুখলাল আশ্চৰ্য্যরকম সুপুরুষ। কোন রাজা মহারাজা কিম্বা দেশী বা বিদেশী সম্রান্তঘরের রূপবান পুরুষের ঔরসে তার জন্ম হয়েছে সে জানে না। জানিবার দরকারও নেই। কিছু এসে যায় না। সমাজ তাকে এ বিষয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। যে স্তরে তার স্থান তার চেয়ে নীচু স্তর তো আর নেই, কারো তাই ক্ষমতাও নেই তাকে নীচে নামায় বা বর্জন করে। আস্তাকুঁড় থেকে আবর্জনাকে বর্জন করার ঠাই কই ? পিসী জেগে ছিল। রম্ভা ডাকতেই উঠে দরজা খুলে দিল। বীরেশ্বর ঘুমিয়ে পড়েছিল, তার ঘুম ভাঙ্গল না। শুয়ে পড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে রূন্তাও ঘুমিয়ে পড়ল।