পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণেন্দু উঠানে পা দিলেই দুৰ্গা তাকে গাল দেবে বলেছিল। মনে হয়েছিল, ছ’মাস এক বছর পরেও যদি কৃষ্ণেন্দু আসে, মনে সে রাগ পুষে রাখবে, গাল না দিয়ে ছাড়বে না। দু’ঘণ্টার মধ্যে কৃষ্ণেন্দু হাজির BS rBB DB BHDuuDS KLDt DBB DS SBDBD guDuDuD BBD এগিয়ে আসে, একটু ব্যস্ত হয়, আজ দাওয়ায় কাঠ হয়ে বসে রইলcanics নরেশ আর টেপির ব্যাপারটা জানা গেল কৃষ্ণেন্দুর কাছে । সুরেশকে সম্বোধন করে সে বলল, “ভাইটিকে তো তোমার মারলাম আচ্ছা করে সুরেশ, ভাবলাম, মেরেছি। বেশ করেছি, তোমায় একবার বলে যাওয়া উচিত।” ব্যাপারটা বিশ্ৰী, তবে এতক্ষণ সকলে যা অনুমান করছিল সেরকম কিছু নয়। সোনামাসীর জমানে টাকা আর সোনামাসীর মেয়েকে নিয়ে নরেশ পালিয়ে যাবার আয়োজন করেছিল। শুধু টোপকে নিয়ে পালিয়ে যাবার মতলব থাকলে হয়তো বাধা পড়ত না, টেপি চুপি চুপি বেরিয়ে আসত আর দু’জনে চলে যেত যেদিকে দু’চোখ যায়। কিন্তু টাকা তো চাই । সন্ধ্যা থেকে সোনামাসী ঘর আগেলে বসে থাকে, আদায়ে বার হয় শুধু দিনের বেলা। বাড়ীতেও লোক থাকে অনেক। দুপুর বেলা শুধু যে যার ঘরে ঘুমোয়। তাই আজি দুপুরে সোনামাসী তাগিদে বেরিয়ে যাওয়ার পর নরেশ গিয়ে সোনামাসীর টিনের তোরঙ্গ ভেঙ্গেছে, চৌকির নীচে গৰ্ত্ত খুঁড়েছে, টেপির কাছে জেনে নিয়ে আরও যেখানে যেখানে টাকা লুকানো ছিল, সব খুজে বার করেছে। জণ্ডর বৌ কি করতে তার ঘরের বাইরে এসেছিল, সে ঘরে ফিরে গেলেই দু’জনে বেরিয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছে, হঠাৎ সোনামাসী এসে হাজির ৷ বিকেল পৰ্য্যন্ত ঘরে খিল দিয়ে সোনা নাসী নরেশকে আটকে রেখেছে, একটু একটু করে জেনে নিয়েছে O