বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানটাই শােধ মানষের দরকার-আর কিছ না। দেশে আজ অন্ন নাই, জল নাইযাঁরা সে সব দেবার ভার নেবেন বা নিয়েছেন, অত্যন্ত মহৎ তাঁদের উদ্দেশ্য সন্দেহ নেই। তাঁরা তা দিন। কিন্তু তার চেয়েও বড় দান হবে এই জ্ঞানটা-শােধ এই অনন্ত অধিকারের বাত্তা মানষের প্রাণে পৌছিয়ে দেওয়া। দেহের খাদ্য অনেকেই যোগাতে পারে।--আত্মার খাদ্য ক’জন যোগায় ? শধ এই জ্ঞানটা মানষি মনে যখন বরণ করে নেবে, তার দৈন্য দরি হবে, হীনতা কেটে যাবে, সঙ্কীর্ণতা ধয়ে মাছে পবিত্র হবে। কালবৈশাখীর শীকরসিং সিনেগাধ আশীৰ্ব্ববাদের মত এই অনন্ত অধিকারের বাত্ত মানষের বক্তৃক্ষ, অজ্ঞানতাব্দগধ মনে অমতের বর্ষণ করােক। দর অজানা সনপনজগতের কোণ থেকে বয়ে আনক। মনোজগৎ মানষের অপব্ব সম্পদ। একে অবহেলা না করে দঃসাহসিক আবিস্কারকের উৎসাহ নিয়ে এক অজানা দেশসমাহে যদি অভিযান করতে বার হওয়া যায়, বিশেব বড় রাজ্য প্রতিস্ঠা করা হবে। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আমি বেশ দেখতে পাচ্ছি অনেকদরের আমার গ্রামের চড়কতলার মেলা থেকে হাসিমখে ছেলে-মেয়েরা মেলা দেখে ফিরে যাচ্ছে—কারীর হাতে বাঁশের বাঁশী, কারার হাতে মাটির রংকরা ছোবা, মাটির পালকি।। একদল গেল। গাঙ্গলীপাড়ার দিকে, একদল নীতিডাওগার মাঠের পথ বেয়ে ঘোঁট, ও নোনাবনের ধার দিয়ে ছাতিম বনের ছায়ায় ছায়ায় ধলজড়ি মাধবপরের খেয়া ঘাটে যাচ্ছে-পার হয়ে ওপারের চাষা-গাঁয়ে যাবে। পাঁচশ বৎসর আগে যারা ছোট ছিল, এই রকম মেলা দেখে ভোঁপ বাজাতে বাজাতে তেলেভাজা জিলিপি খেতে খেতে ফিরে গিয়েছিল--তারা এখন মানষ হয়ে অনেক দিন কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে, কেউ কেউ মারা গিয়েছে, কারার জীবন ব্যর্থতার দীনতায় ভারে গিয়ে বেচে থেকেও নেই-আজকার এই নিপোপ, অবোধ, দায়িত্বহীন জীবনকোরকগলোর পাচিশ বৎসরের ভবিষ্যৎ জীবনের ছবি কলপনা করতে বড় ভাল লাগে। দিদি দােগা যেন রক্ষা চলে হাসিমখে অচিলে কদমা বেধে নিয়ে মচিকুন্দ-চাঁপার অন্ধকার তলাটা দিয়ে বাড়ী ফিরছে।-- --আপন-ও আপ-তোর জন্যে কত খাবার এনেছি। দ্যাখ রো-ও অপ। পাঁচশ বৎসর-এর পার থেকে ডাক আসে। ৷৷ ১লা বৈশাখ, ১৩৩৫ সাল ৷ আজকাল দিনটি সত্যই মনে করে রাখবার মত—সেই সকালে আটটার সময় ঘোড়া ক'রে বার হওয়া গেল। কমলাকুণড গ্রামের বাড়ী বাড়ী রাগী দেখে বেড়ালাম। কৈসাের মেয়ে, বেহারীদের বাড়ী— বোলা প্রায় বারোটার সময় ফিরে এসে গণপৎদের গাঁয়ে গেলাম। সেখানে যাবার সময় বসিতর। এদিকে কাশের মাঠটা থেকে পাহাড় বেশ দেখাচ্ছিল! ভাবলাম সব লোকে আমাদের গাঁয়ে নীলপ জোর দিন দাপরে কাদামাটি দেখতে গিয়েছে— ছড়ানো ধানগলো এখনও কাদার ওপরে, ভাল করে গাছ বার হয়নি। ঝাঁ ঝাঁ করছে দািপর-গণপৎদের বাড়ী গিয়ে ওদের বাড়ীর মধ্যে সব ঘরে ঘরে দেখা গেল—তারপর দই-এর শরবৎ খেয়ে ঠান্ডা হলাম। এপারে যািগল শিশি হাতে করে ঔষধ নিতে এল—সব কাজ মিটিয়ে আমি বেরিয়ে এলাম। ললিতবাবার সঙ্গে দেখা করতে দিয়ারা কাছারীতে। সেখানে তরমাজের শরবৎ ও লাচি ইত্যাদি ললিতবাব খাওয়ালেন—কিছতেই ছাড়লেন না। সাড়ে তিনটার সময় সেখান থেকে Vy W