বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সড়ি পথটায়। সন্ধ্যার ঠিক আগে বাল্যে কিসের শব্দটা বেরতো, সেই শব্দটা বেরচ্চে। মায়ের কথাই আবার মনে হয়। অনেক রাত্ৰে বায়োসেম্বকাপ দেখে ফিরলাম-ঝমােঝম বন্টি, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচে, মেঘান্ধকার আকাশ, রাস্তায় জল জমে গিয়েচে-তার মধ্যে বাসখানা কেমন চলে এল! যেন এরোপ্লেনে উড়ে সমদ্রের ওপর দিয়ে যাচ্ছি। বাইরের বারান্দাতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম—একটা Vision দেখলাম—এক দেবতা যেন এইরকম অন্ধকার আকাশপথে, তুষারবষী-হিমশন্যে এক হাজার আলোক-বর্ষে চলেচেন অনবরত-দর থেকে সদরে তাঁর গতি। কোথায় যাবেন স্থিরতা নেই—চলেচেন, চলেচেন, অনবরত চলেচেন, হাজার বছর কেটে গেল। বিরাম free Niš-Greatness of space, Undaunted travels of ISCM4 সেদিন পাঁচ গোপালের সঙ্গে ভগবতীপ্ৰসন্ন সেনের বাড়ি গিয়েছিলাম। ছেলেবেলাকার সে স্থানটি হয়তো আর কখনও দেখতুম না-কিন্তু আবার সেই ‘পরশ রামের মাতৃহত্যা’ যাত্রাটি হয়েছিল, সেটি আবার দেখলাম—যে ঘরে বসে বাবার সঙ্গে নিমন্ত্রণ খেয়েছিলাম-ভগবতীবাব যে রোগীকে ব্যবস্থা-পত্ৰ দিয়েছিলেন কতকাল আগে আমার নয় বছরের শৈশবে-লেখো ‘রত্নগভ” বলে, সেই কথাটি মনে পড়ল। এতকাল ?((ଇଁ । সত্যিই জীবনটা অপব্ব শিলপ-কি বলে প্রকাশ করি এর গভীর অপ্রত্যাশিত সৌন্দৰ্য্য, এর নবীনত্ব, এর চার কমনীয়তা—আবার সেই পথটি দিয়ে ফিরে এলাম, যে পথে বাবার সঙ্গে গঙ্গাস্নানে যে তুম।.বিজয়রত্ন সেনের সেই বাড়িটা আজি আটাশ বছর পরে আবার দেখলাম। আজ সকালে উঠে সন্নান সেরে রামরাজাতলা গিয়েছিলাম ননীর সঙ্গে দেখা করতে। সনানটা আমার ভাল লাগে নি আদৌ। পল্লীর শ্ৰী-সৌন্দয্য নেই, অথচ শহরের মহনীয়তাও নেই—শহরের মধ্যে দীনতা নেই, কুশীতা কম, যেদিকে চাই, বড় বড় সৌধ, বিশাল আকাশ-আর ওখানে পল্লীর অপব্ব বনসন্নিবেশ নেই, Space নেই- অাছে খোলা ড্রেন, দরিদ্র মিউনিসিপ্যালিটির তেলের আলো আর ওলকচার বৰ্ষা প্ৰবন্ধ ঘোষা-ঘোষি। ননীর সঙ্গে অনেক কথা হল। ছেলেটির মধ্যে সত্যিই কিছ ছিল, কিন্তু গোয়ো হয়ে খলতে পারছে না। ওকে কলকাতায় এনে ভাল সমাজে পরিচিত করে দেব। বিকেলে বাসায় ফিরলাম। কি সন্দির আকাশ!..বাল্টি নেই। অনেকদিন, অথচ মেঘের পাহাড় নানা সস্থানে আকাশে। কেমন যে মনে হচ্চিল, তা কি করে বলি।. বেলা পাঁচটাতে রবিবাসর ছিল প্রবাসী আপিসে। হেমেনের গানের কথা ছিল, প্রথমে অনেকক্ষণ সে এল না। আমি, সজনী, অজিত সকলেই ব্যগ্রভাবে তার প্রতীক্ষায় ছিলাম। রবিবাসরে যাবার পথে রাধাকান্তদের মাস্টার সাশীলবাবার সঙ্গে (2ा । সশীলবাব বিভূতির কথা উল্লেখ করে অনেক দঃখ করলেন। সত্যিই ছেলেটি খারাপ হয়ে যাচ্চে সবাই বলে। অক্ষয়বাবর নাকি মধ্যে একদিন ফিট হয়েছিল গাড়িতে-অতিরিক্ত মদ্যপানের ফল। ওদের সম্পত্তিটা অভিশপ্ত—সংযম ও উদারতার অভাবে এবং কতকটা কুশিক্ষা ও দাম্পিভকতার ফলেও ওদের সব নন্ট হয়ে যেতে SO