বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবেশ অনযায়ী বদলেচে-জ্যেঠাইমা, সাইমা, হরিকাকা-সেই সময়ের মনোভাবসংকীর্ণতা, দারিদ্র্য, অথচ কি মহাঘ আনন্দ...তা বর্ণনা করা যায় না—সে এক জগৎযেমন এবার আমি বিলবিলের ধারে বসে বসে কত মেয়েদের জলে ওঠা-নমা করতে দেখতুম, ওরা কাপড় কাচিছে, বাসন মাজচে, পরস্পরের সঙ্গে গলপ করচে—ওদের এই axis G7-re...thc little pool in the woods-Gier Rif f(if g facif-Gis ডোবাটার। ও নিয়ে একটা গলপ লিখব। এরা এই ক্ষদ্র জগতে সবাই কিন্তু যথেষ্ট সন্তুষ্ট আছে-এর বেশী। এরা চায়ও না, বোঝেও না কিছ। পাগলার মা আমি কুড়িয়ে সম্পর্তুল্ট, নেলির মা থালা থালা আমসত্ত্ব দিয়ে সন্তুষ্ট, হরিপদদা গাঁয়ের মোড়লী করে সন্তুষ্ট। এর বেশী এরা কিছ- চায় না। গ্রীল্ডেমর ছটি শেষ হয়ে গেল। কাল ঘাটশীলা থেকে ফিরচি। সঙ্গে ছিল হরিবোলার ছেলে মাদার। ও ফিরে গেল দেশে। ঘাটশীলায় বড় গরম পড়েছিল, দদিন কেবল বান্টি হয়েছিল। রোজ বিকেলে বেড়াতে যৌতুম গালডি রোডে সেই শাল বনটার মধ্যে, সেখান থেকে বনমাটির পথ যেখান দিয়ে পার হয়ে গেল সেই উচ জায়গায়। দারের দিক চক্ৰবালে নীল শৈলশ্রেণী মক্ত ভূপঠের আভাস। এনে মনকে বন্ধনশন্য করে দিতে অপরাহের ছায়াভিরা আকাশতলে, সেখানে বসে বসে সপ্রভার চিঠি, খাকুর চিঠি পড়তুম। কোথায় রায়গড়, কোথায় মিরালী, সে এখন হয়তো এই বিকেলে বসে চলে বাঁধছে, এমনি সব কত ছবি মনে পড়ত। একদিন খাব ঝড়বটি এল, রাস্তার ধারের ছোট সাঁকোর মধ্যে ঢকে অতি কষ্টেট বান্টির ধারা থেকে নিজেকে রক্ষা করি। পরশ বসে ছিলম কত রাত পৰ্যন্ত ফলডংরি পাহাড়ের নীচে। একে একে দটি একটি করে কত তারা উঠল। অন্ধকার আকাশে-আমি যেন বিরহী তরণ দেবতা, যােগান্তরের পািব্বতশিখরে বসে কত জন্মের প্রণয়িনীর কথা ভাবচি। কোথায় এক ক্ষদ্র গ্রাম্য নদীর তীরে বনসিমতলার ঘাট, সেখানে যে বালিকা ছিল, সে আর সেভাবে কখনো ও ঘাটে থাকবে না-কত বছর চলে যাবে, বালিকার দেহে নামবে জরা, কতকাল পরে বন্ধা। যখন একা একা ঘাঁটি হাতে ঘাটের পাড় বেয়ে উঠবে, তখন সে কি ভাববে না। তার অতীত কৈশোরের কথা—কত প্রণয়-লীলার সােথান-বিনসিমতলার ঘাটটার কথা ! গৌরীর কথা মনে হল। অনেক দরে আর এক গ্রাম্য নদী, তার ধারে একটা দোতলা বাড়ি—কতকাল আগে সেখানে যে মেয়েটি ছিল, তার দেহের নিশবার রেণ। হয়তো ওই নদীতীরের মাত্তিকাতেই মিশিয়ে আছে এই কুড়ি বছর। সে জীবনে কিছই পায়নি-সে। বাঁশ্চিতার কথা আজ এই সন্ধ্যায় বিশেষ করে মনে এল। আর এক বঞ্চিতা হতভাগী মিনতি। ওকে কখনো চোখে দেখিনি, কিন্তু ওর নাম শানেচি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, ওর দঃখ দীর হোক। কিন্তু সপ্রভার দঃখ কে দরি করবে ? তার মন তো সাধারণ মেয়ের মন নয়সে যে চিরজীবন কাঁদবে, তার কি উপায় করব ? ওর জন্যে মন যে কি ব্যাকুল হয়েচে আজি ক'দিনই। নিজনে বসলেই ওর কথা সারা মন জড়ে থাকে। ওর সঙ্গে দেখা করাই চাই, মন বড় ব্যাকুল হয়েচে দেখবার জনে। কাল বনগাঁ থেকে এলাম। অজিতবাবার বদলি উপলক্ষে সাহিত্যসভা ছিল। অজিতবাব লিখেছিলেন, যাবার সময়ে আসবেন। ক'দিন বেশ কাটল। এবার ওদের পাড়াসদ্ধ সকলে ডেকে ডেকে আনন্দ করলে, গলপ করলে। সনীতিদিদি, শাকুর মা ܠܬܬ