বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেমন বারোয়ারী যাত্রা হয়ে গেল, আপনি ছিলেন না। ওরা ভাবলে আমি না-জানি কতদিন পরী গিয়েছিলাম। বৌভাতের নেমন্তনে বেশ ভালই খাওয়ালে এ বাজারে। লাচি, পোলাও, মাছের काक्लिक्षा, মড়িঘণ্ট, छाँbgा, bान, দই, পায়েস; সন্দেশ ; রসগোল্লা ; আম; दकाँग्रेव्k হাজারি বল্লে-তোমায় বরযাত্রি নিয়ে যাবার বড় ইচ্ছা ছিল ভাই। আমি দঃখ প্রকাশ করলাম। পরীতে ছিলাম, কি করবো। খাওয়ার পরে সেকেন পন্ডিত ও মল্ল বাইরে এসে বসে কতক্ষণ গলপ-গজব করলে। স্কুলের চাকুরির নিয়োগপত্র দিলে মল্ল । ধ্ৰু জন চাকুরিতে যোগ দিতে হবে। আমার ইচ্ছে নেই, কিন্তু ওরা ছাড়ে না, কি বাহাদর ও আমি হোটে চলে এলাম বেলা তিনটার সময়। কাল গিয়েছিলাম আবালির হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ীতে বেনাপোলে। কাপ্তেন চৌধরিী ডাকবাংলো থেকে লোক পাঠিয়ে আমায় ডেকে নিয়ে গেলেন। ওঁর। জিপ গাড়ী কাল কলকাতা, পাঠানো হচ্চে সারানোর জন্যে, তাই আজ আমাকে নিয়ে চল্লেন হরিদাস ঠাকুরের পাটঢ়ীতে। আশচয্য ঠিক সেদিন যে সময় ভদ্রক যাচ্চি বালেশবের থেকে, আজ সেই সময় বনগাঁ থেকে বেনাপোলে চলেচি। পরীতে দেখে এসেছি সেদিন এই মহাপরিষের সমাধি, আজ যশোর জেলার একটা অজ পাড়াগাঁয়ে বাঁশবন ঘেরা ক্ষদ্র জায়গাটিতে তাঁর সাধনস্থান দর্শন করলাম। সন্ধ্যায়। চাঁদ উঠলো, আরতি আরম্ভ হয়েচে, গমট গরম। বেশ লাগচে৷ এই পবিত্র নিভৃত তপোবনটি। যশোর জেলার গৌরব যে অত বড় মহাপরিষ একদিন এখানকার মাটিতে জন্মেছিলেন, এখানকার জলে বাতাসে পালট F নদীয়ায় যেমন শ্ৰীচৈতন্য, ঠিক তেমনি সময়ে পাশবািবত্তী জেলায় হরিদাস সন্ধ্যার পর ফিরে এসে লিচতলায় জ্যোৎস্নায় বসে মিতে, যতীনন্দা, শিবেনদার সঙ্গে আড্ডা দিলাম। গোপালনগর থেকে প্রতিদিন মাঠের পথ ধরে যাতায়াত করি। আউস ধানের ক্ষেতে বড় বড় ধানের সবজি গোছা, গাছের মাথায় মাদকাল লতার বড় ঝোপ, পাখীর ডাক-এ সবের মধ্যে দিয়ে বিকেলে স্কুল থেকে ফিরি। সেদিন মেঘমোদর সন্ধ্যায় নদীর জলে গা ধতে নেমেছি, সন্ধ্যার বেশি দেরি নেই, কুটির দিকে চেয়ে দেখি যতদর চোখ যায়, মেঘলা আকাশ নেমে উবড় হয়ে রয়েচে সবজি মাঠের ওপরে। কিন্তু যে দশ্যটা আমায় মন্ধে করলে, সেটা হচ্চে এই—সইবাবলা গাছের ফাঁকে ফাঁকে জোনাকী পোকা জবলচে নিবচে। তখনও রাতের অন্ধকার নেমে আসেনি, অথচ জোনাকির হল থেকে বেশ আলো ফটেচে। সে যে কি অপব্ব দশ্য! ভগবানের হাতের শিল্প, আইডিয়ারপেী ব্রহ্মের প্রকাশ এর প্রতি রেণীতে রেণ।তে...এ সত্যি। দেখবার মত জিনিস। কতক্ষণ একদৰেট চেয়ে রইলাম। আজ পাড়াগাঁয়ের অখ্যাত, নিভৃত কোণে, এই মেঘভরা বাদল সন্ধ্যায় এত বড় সৌন্দয্য কারও দেখবার অপেক্ষা রাখচে না। এ আপনাতে আপনি মহান। এ জানিয়ে দেয় যে বিশবশিলপীর চিত্রের পটভূমি হিসেবে বিশেবর সকল স্থানই মহিমময় পবিত্র-তাঁর নীরব বাণী এদেরু বাতাসে, ধালিতে, পত্রের মন্মরে, এই জোনাকী পোকাগলোর জবলন্ত নিবন্ত আলোকপঞ্জে . 66