কাছে ঋষ্যশগ আশ্রমের সে সন্ন্যাসিনী কিছই নয়। ঢাকের কাছে টেমপ্লেটমি। ভক্তিতে আমি আপ্লত হয়ে পড়লাম। সাধজী আমায় বললেন-ঘর কোথায় ? -(Grevols 一百阿? -छी शाँ। সত্য কথা বলবো, সাধবাবা আমার কাছে এক পয়সাও চান নি। আমি একটি সিকি তাঁর কাছে রাখলাম। তিনি সেটা হাতে তুলে নিয়ে কোথায় যেন রেখে দিলেন। মখের ভাব দেখে মনে হল আমার প্রতি যথেস্ট প্রসন্ন হয়েছেন। সাধজী বেদান্তের ব্যাখা আরম্ভ করে দিলেন-মায়া কি, অধ্যাত্ম কি, ইত্যাদি। আমার সে সব শনিবার আগ্রহের চেয়েও তাঁর মাখে। তাঁর ভ্রমণকাহিনী শনিবার আগ্রহই ছিল প্রবলতর। কিন্তু সাধজীর মনে কন্ট দিতে পারলাম না-আধঘণ্টা ধরে চুপ করে রিসে বেদান্তব্যাখ্যা শনিবার পরে আমি তাঁর কাছে বিদায় নিয়ে আবার মন্দিরের পিছনে একখানা পাথরের ওপরে এসে বসলাম। তখন সায্য অস্ত যাচ্চে। রক্ত সয্যাস্তের আভা পড়েচে গঙ্গার বকের বীচিমালায়, গৈবীনাথের মন্দিরাচড়ার ত্রিশলের গায়ে, এপারের গাছপালা। জামালপরের মারফ। পাহাড় পশ্চিম আকাশের কোলে নীল ÇÇYISI SN(\DT (1731(DS গৈবীনাথের মন্দিরের ঠিক নীচে পাহাড়ের গায়ে একটা ছোট গহা আছে, সেটাও দেখে এসেচি। তার মধ্যে এমন কিছ দেখবার নেই। তবে এই রকম রক্তাভ। অপরাহের আকাশতলে পাহাড়ের ওপরে, পা ঝালিয়ে গঙ্গার এবং গঙ্গার অপর-তীরবত্তীর্ণ সবিস্তীর্ণ চরাভূমির দিকে চোখ রেখে নিরিবিলি বসে থাকার বিরল সৌভাগ্য ঘটেছিল বলেই গৈবীনাথ-তীৰ্থ দশন আমার সফল হয়েছিল। কতক্ষণ বসে থাকবার পরে হঠাৎ কখন জলে চাঁদের প্রতিবিম্পব উক্তজবলতর হয়েচে দেখে চমক ভাঙলো। সন্ধ্যার কিছদক্ষণ পরে ট্রেন-সেবার যে ট্রেনে কাজরা থেকে এসেছিলাম ভাগলপারে। এদিকে মনে প্রবল বাসনা রাত্রিটা এখানে থাকলে ভালো হয়। অগত্যা সাধবাবাজীর কাছেই আবার গেলাম। তিনি শনে বললেন-মন্দিরের মোহান্তজীকে একবার বলে দেখ। আমি তোমাকে বড়জোড় একখানা কমবেল দিতে পারি, অন্য কিছই নেই আমার। মোহাতজীকে গিয়ে ধরলাম। আমার আবেদন শানে তিনি বোধ হয় একটা বিস্মিত হয়েছিলেন—বললেন—থাকবার অন্য জায়গা নেই।-রাতে মন্দির বন্ধ থাকে, পাশের বারান্দায় থাকতে পারো। কিন্তু তোমার সঙ্গে বিছানা আছে ? —কিছ নেই, তবে সাধজী একখানা কম্পিবল দেবেন বলেচেন। —এখানে গঙ্গার বকে রাত্রে বেশ শীত পড়বে, খোলা বারান্দায় শয়ে থাকতে পারবে ? 2 -খব। ও আমার অভ্যোস আছে। আপনি থাকবার অন্যািমতি দিলেই হয়। —থাকো, কিন্তু খাবে কি ? —কিছ দরকার নেই। —তোমার খশি। কিন্তু সেখান থেকে জ্যোৎস্নারাত্রে গঙ্গার তরঙ্গভঙ্গ দেখা আমার আদলেট ছিল না-সাধজীর কাছে আবার ফিরে গিয়ে দেখি মঙ্গেরের এক শেঠজি সেখানে বসে। (