পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী අ ම් জল । আমি এক গলা গঙ্গাজলে দাড়িয়ে বলতে পারি, কখন হয় নি –জগদম্বার সতীত্ব মাণিক, র্তার রূপের গড়ে আটক আছে । যদি কেহ কেহ অগ্রসর হয়, গড়ের দ্বারে দুটি মত্ত হস্তী দেখে ফিরে আসে । জগ । হাতী এলো কোথা হতে ? জল । বাছার দুই পায়েতে দুটি গোদ । জগ । ( ঘোমটা খুলে ) তবে রে আঁটুকুড়ীর ব্যাট, এমনি উন্মত্ত হয়েচ, মাগকে বাছা বলচো, তোমার আদ্‌ হাত দড়ি যোড়ে না, যে গলায় দাও ? জল । ও মা তুমি ! ও মা তুমি ! সৰ্ব্বনাশ করিচি, কেউটে সাপের তাজ মাড়িয়ে ধরিচি ! জগদম্ব, রাগ করে। ন, আমি তোম। বই আর জানি নে— জগ । ( ব্যাটা প্রতার করিতে করিতে ) গোল্লায় যাও, গোল্লায় যাও, গোল্লায় যাও, এমন পোড়া কপাল করেছিলেম, এমন পোড়ার দশা অামার, অামায় কেন মুন খাইয়ে মারে নি—আমার আপনার ভাতারের মুখে এমন ব্যাখ্যান, আমি আজি গলায় দড়ি দিয়ে মরবো, আমি জলে ঝাপ দেবো, তোর সংসার নিয়ে তুই থাক । ( ক্ৰন্দন ) আমার সাত জন্ম অধৰ্ম্ম ছিল, তাই তোর হাতে পড়েছিলেম । জল । জগদম্বা, তুমি বই তার আমার কেউ নাই, তুমি রাগ করে না, আমি তামাস করে বলিচি । জগ । তুমি আর জ্বালান জালিও না, তোমার আর কাটা ঘায়ে মুনের ছিটে দিতে হবে না । অামি মরি ওঁয়ার জন্তে, উনি আমার মুখের ছাপ নেন, উনি সাড়াসী দিয়ে আমার মূলো দাত তোলেন—সৰ্ব্বনাশীর ব্যাট, রাগেতে গা কাপ্‌চে । জল । আমার কিছু দোষ নাই । জল । আবার ঐ মুখে কথা কচ্চিস, ক্যাটাগাছটা গেল