পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à বেত্রবর্তীর জলে ফেলাইয়া দিব এবং তোমাকে কুটির গুদামে ধান খাওয়াইব ।” তাহাতে বড়বাবু কহিলেন, “আমার গত সনের ৫০ বিঘা নীলের দাম চুকাইয়ে না দিলে এ বৎসর এক বিঘাও নীল করিব না, এতে প্রাণ পৰ্য্যস্ত পণ, বাড়ী কি ছার ” গোলোক । তা না বলেই বা করে কি। দেখ দেখি, পঞ্চাশ বিঘা ধান হইলে আমার সংসারের কিছু কি ভাবনা থাকতো ! তাই যদি নীলের দামগুণে চুক্য়ে দেয় তবু অনেক কষ্ট নিবারণ হয় । নবীনমাধবের প্রবেশ কি বাবা, কি কর্যে এলে ? নবীন। আজ্ঞে, জননীর পরিতাপ বিবেচনা কর্যে কি কালসৰ্প ক্রোড়স্থ শিশুকে দংশন করিতে সঙ্কুচিত হয় ? আমি অনেক স্তুতিবাদ করিলাম, তা তিনি কিছুই বুঝিলেন না। সাহেবের সেই কথা, তিনি বলেন ৫০ টাকা লইয়া ৬০ বিঘা নীলের লেখাপড়া করিয়া দাও, পরে একেবারে দুই সনের হিসাব চুকাইয়ে দেওয়া যাবে। গোলোক । ৬০ বিঘা নীল কত্তে হল্যে অস্ত ফসলে হাত । দিতে হবে না । অল্প বিনাই মারা যেতে হলো । নবীন । আমি বলিলাম, সাহেব, আমাদিগের লোকজন লাঙ্গল গোরু সকলি আপনি নীলের জমিতে নিযুক্ত রাখুন, কেবল আমারদিগের সম্বৎসরের আহার দিবেন, আমরা বেতন প্রার্থনা করি না । তাহাতে উপহাস করিয়া কহিলেন, “তোমরা তো যবনের ভাত খাও না।”