পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা দীনবন্ধু মিত্র-প্রণীত নীল দৰ্পণং নাটকং ১৮৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় । গ্রন্থে দীনবন্ধুর নাম ছিল না। আখ্যাপত্ৰ হইতে পুস্তক প্রকাশের স্থান, কাল, মুদ্রাকর ও মুদ্রাযন্ত্রের পরিচয় পাওয়া যায়। উহা এইরূপ ছিল— নীল দৰ্পণং / নাটকং / নীলকর-বিষধর-দংশন কাতরপ্রজানিকর / ক্ষেমঙ্করেণ কেনচিৎ পথিকেনাভিপ্রণীতং । / ঢাকা / শ্রীরামচন্দ্র ভৌমিক কর্তৃক / বাঙ্গলাযন্ত্রে মুদ্রিত। / শকাব্দ ১৭৮২ । ২ আশ্বিন ! / এই পুস্তকের পৃষ্ঠা-সংখ্যা ছিল ৯০ +y• । বর্তমান সংস্করণে আমরা প্রথম সংস্করণের পাঠই সৰ্ব্বত্র গ্রহণ করিয়াছি । পরবর্তী সংস্করণের পুস্তক মিলাইয়া দেখিয়াছি, মুদ্রাকর প্রমাদে সেগুলির বহু স্থল ফুৰ্ব্বোধ্য। ১৮৬১ খ্ৰীষ্টাব্দে এই পুস্তকেরই “A Native”-কৃত অমুবাদ Nil Durpun, or The Indigo Planting Mirror প্রকাশিত হইলে স্থানীয় নীলকরদের মধ্যে সবিশেষ চাঞ্চল্যের স্মৃষ্টি হয় । সে চাঞ্চল্যের ঢেউ বাংলা-সরকার পর্য্যন্ত পৌছায় এবং অনেক গোলযোগের সূত্রপাত হয় । “ভূমিকা”য় দীনবন্ধু যে “সম্পাদকদ্বয়”-এর উল্লেখ করেন, তাহাদের অন্ততর ‘ইংলিশম্যান’ পত্রিকার সম্পাদক ওয়ালটার ব্রেট ফরিয়াদী সাজিয়া পুস্তকের মুদ্রাকর সি. এইচ. মামুয়েলের নামে মানহানির মকদম করেন । মামুয়েলের জরিমান হয়। এই মকদমাকালেই মামুয়েল রেভারেও লঙের নির্দেশমত প্রকাশক হিসাবে তাহার নাম করিয়া দেন । ফলে লং সাহেবের নামেও মানহানির মামলা চলে । সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সার মর্ড্যান্ট ওয়েলসের আদালতে ১৮৬১ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৯ জুলাই এই