পাতা:দূর্গাপুজার বলি ও জীব বলি.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSVyr জীব-বলি । “নিন্দসি যজ্ঞবিধেরহহ শ্রীতিজাতং সদয়হীদয়দর্শিতপশুঘাতাং কেশব ! ধৃত বুদ্ধশরীর জয় জগদীশ হরে ।” কিন্তু যজ্ঞের অর্থ কি ? একটা সমীচীন মত শুনাই :-“যজ্ঞকে এখনকার কালে আমরা ‘‘যাগ গিতে” পরিণত করিয়াছি; একটা ধুমধাম হৈ চৈ ব্যাপারই আমাদের দৃষ্টিতে যজ্ঞ । যজ্ঞের কিন্তু আদিম অর্থ এরূপ নহে। যজ্ঞের মৰ্ম্মভাব ত্যাগ-sacrifice; পুৰ্ব্বকালে “যজ্ঞ” বলিলে লোকের মনে ত্যাগের ভাবই ফুটিয়া উঠিত। বাস্তবিক যজ্ঞের প্রধান উপাদান-ত্যাগ। প্ৰজাপতি যে বিরাট যজ্ঞানুষ্ঠান করিয়া এই জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন, পুরুষ-স্তুক্তে তাহার ইঙ্গিত করা আছে। সে মহাযজ্ঞ আর কিছুই নহে-জীবের হিতার্থে ভগবানের বিশাল আত্মত্যাগ। এইরূপ জগতের পোষণের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যে (আত্ম) ত্যাগ, আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাহাকেই “যজ্ঞ’ নামে অভিহিত করিতেন ।” (হীরেন্দ্ৰনাথ দত্ত ৷-“গীতায় ঈশ্বর” ৫০৷৫১) কালক্রমে যজ্ঞের এই মহান সমুন্নত আত্মত্যাগ ভাবের কি দারুণ স্বার্থপর বিকৃত পরিণাম দাড়াইয়াছিল! দেব-উপাসনার ইহাই নিয়ম যে ইষ্টদেবতার নিকট নিজের মন প্ৰাণ শরীর সমস্তই উৎসর্গ করিতে হয়। বোধ হয় এই মহান ভাবে জানুপ্ৰাণিত হইয়াই আৰ্য্যগণ পুরাকালে-বেদাদির সময়ে-দেবতার উদেশে আত্মাকে উৎসর্গ করিতেন, দেবতার নিকট নিজেই নিজেকে বলি প্ৰদান করিতেন । সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মে দেবোদেশে আত্মোৎসর্গের আরও কয়েকটি উপায় নিৰ্দ্ধাবিত আছে। যথাবিহিত কৰ্ম্মানুষ্ঠানের পর “মহাপ্রস্থান”