অনেক বড় বড় ত্রুটি, উপেক্ষার চক্ষে দেখিয়াছি। কিন্তু তোমার আজ্কের অপরাধের কোন মার্জনা নাই।”
বাহারবানু গম্ভীরমুখে বলিল— “অপরাধ, যে কিসে হইল, জনাব! তাহা ত বুঝিতে পারিতেছি না।”
সুজা বেগ। যে অপরাধী, সে কি সহজে তার অপরাধের গুরুত্ব বুঝিতে পারে? কেন তুমি এখানে এভাবে আসিলে?
বাহারবানু। সত্য কথা বলিব কি নবাব! বলিলে তুমি বিশ্বাস করিবে কি?
সুজা বেগ। কোন কথাই শুনিতে চাহি না। দুষ্ট বুদ্ধি বশে যাহা করিয়া ফেলিয়াছ, তাহা আর ফিরিবে না। তুমি এখনিই এস্থান ত্যাগ কর।
বাহারবানু। যদি না করি?
সুজা বেগ। তাহা হইলে বুঝিব, তুমি অতি নিলর্জ্জা। অতি ঘৃণিতা। আত্মসম্ভ্রমের মূল্য জ্ঞান তোমাতে খুব কম!
বাহারবানু। এখন এ সব কথা বলিবে বই কি? কিন্তু মনে কর সেই দিনের কথা— নবাব সুজা বেগ! সে দিন সমস্ত রাত্রি ধরিয়া সাধাসাধি করিয়া তুমি আমাকে তোমার পার্শ্বে বসাইতে পার নাই। মনে কর, সেই দিনের কথা নবাব—যেদিন আমি তোমার এই নবাবী সম্মান রক্ষার জন্য, প্রেমারার আড্ডায় একদল ওমরাহের সম্মুখে তোমার ইজ্জত বজায়ের উদ্দেশ্যে, আমার কণ্ঠ হইতে বহুমূল্য রত্নহার খুলিয়া, তোমার বাজির দানের ঋণ পরিশোধ করিয়াছিলাম। মনে কর নবাব! সেই দিনের কথা,
১১৭