পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

করিল। সে দিন, কোন বিশেষ কারণে জুমিলা সে বাড়ীতে ছিল না। কাজেই সমস্ত রাত্রিটা প্রাণ খুলিয়া কাঁদিয়া সে তাহার বুকের বোঝাটা খুবই হাল্কা করিয়া লইল। আর রাত্রের মধ্যেই সে সংস্কল্প স্থির করিল, মীর লতিফের কাল তো আসিবার কথা আছে। সে আসিলে, আমার সহিত তাহার ভালবাসার দেনা পাওনা নিকাশের কর্তব্য যাহা—তাহাই করিব।


নবম পরিচ্ছেদ।

 নবাব সুজা বেগের শেষ পত্রখানি হইতেই, এই মহাঝড়ের উৎপত্তি হইয়াছে! পত্রের ব্যাপারটা কি, আমাদের একটু খুলিয়া বলিতে হইবে।

 জামাল খাঁ, নিজে একজন রত্নব্যবসায়ী। তাঁহার সময় যখন ভাল ছিল, তখন তিনি এই ব্যবসায়ে বেশ দুপয়সা উপায় করিয়াছিলেন। তাঁহার ক্ষুদ্র প্রাসাদ তুল্য বর্ত্তমান বাড়ীখানি, গৃহের সাজসজ্জা, সবই তখনও তাঁহার এক সময়ের উন্নত অবস্থার পরিচয় দিতেছে।

 অতিরিক্ত লাভের আশায়, প্রায় লক্ষাধিক মুদ্রা মূল্যের কয়েকখানি বহুমূল্য হীরক, তিনি দাক্ষিণাত্যের মুসলমান রাজাদের নিকট বিক্রয় করিবার জন্য, দৌলতাবাদে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে, দস্যুদলের কবলগত হওয়ায়, তাঁহার, বহুমূল্য

৭৩